অ্যাম্বুলেন্স-বিদেশগামী যাত্রী কাউকে ছাড়েনি শ্রমিকরা

292

চলমান ছাত্র আন্দোলনের বিপরীতে গিয়ে নিরাপত্তার অযুহাতে করা শ্রমিক আন্দোলনে চরম যাত্রী দুর্ভোগ ছিলো সিলেটেও। শনিবার (০৪ আগস্ট) সিলেট থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলেনি। উপরন্তু দিনভর আন্দোলনে বিভিন্ন সড়কে হালকা যানবাহনও চলাচল করতে দেননি শ্রমিকরা।

তারা লাঠি হাতে যানবাহন আটকে যাত্রী নামিয়ে দিয়েছেন। তাদের কবল থেকে মুক্ত ছিলো না জরুরি প্রয়োজনে ছুটে চলা যানবাহন। অ্যাম্বুলেন্স-বিদেশগামী যাত্রী কাউকে ছাড়েননি শ্রমিকরা। দলে দলে লাঠি হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে শ্রমিকরা যান চলাচল প্রতিহত করেছেন। এতে দূর দূরান্তের অপেক্ষমাণ যাত্রীরা সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন।

এদিকে, সারাদেশের মতো শনিবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ও নগরের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার পয়েন্টে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। তারা রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রিকশাকে লাইন মেনে চলতে আহ্বান জানায়। চালকরা তাদের আহ্বানে সাঁড়া দিয়ে কাউকে ওভারটেক না করে লাইন বেঁধে চলাচল করেন।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নগরের চৌহাট্টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে উঠিয়ে দেওয়া হয়। এসময় তাদের মধ্যে ছাত্রত্ব নেই এমন তিনজনকে আটক করা হয়। পরে আত্মীয় স্বজনের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, সিলেটে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে আমরা শিক্ষা পরিবারের সবাই মর্মাহত। সরকার নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে, যদিও এটা যথেষ্ট নয়। তবে সরকার শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়েছে। এ কারণে শিক্ষার্র্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here