আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মানুষের আগ্রহ কম ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় খোলা হয়েছে ১২২ আশ্রয়কেন্দ্র, সিপিপি’র ১২শ স্বেচ্ছাসেবক মাঠে

211

মিরসরাই প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় চট্টগ্রামের মিরসরাই উপকুলীয় এলাকায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন । উপক‚লের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে ১২২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মানুষের আগ্রহ না থাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে সরিয়ে নিতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন এবং উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এর স্বেচ্ছাসেবকরা।

মিরসরাই উপজেলা প্রশাসন জানায়, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে উপজেলার ৭৬ টি সাইক্লোন শেল্টার, ৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জরুরী প্রয়োজনে ১৬টি মেডিকেল টিম ও ফায়ার সার্ভিসের ৪টি টিম সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপক‚লের প্রায় ১৫শ মানুষকে আ¤্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মরত প্রায় সকলকেই নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাকি মানুষজনকে সরিয়ে নিতে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা চেষ্টা করছে। আমরাও তদারকি করছি।

মিরসরাই উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি (সিপিপি) কমিটির টিম লিডার সাইফুল্লাহ দিদার জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় ১১টি ইউনিয়নে ৮০জন টিম লিডারের নেতৃত্বে সিপিপি’র ১২০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত আছে। এছাড়া শনিবার উপকুলের প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে এবং উপক‚লে বসবাসরত মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here