শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে ঈদুল আজহার বাসের অগ্রিম টিকেট দেওয়ায় বিঘ্ন ঘটেছে বলে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে।
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে রোববার সকাল থেকে দূরপাল্লার বাসের অগ্রিম টিকিট দেওয়ার দিন ধার্য করা ছিল।
সোমবার সোহাগ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফারুক তালুকদার সোহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সবগুলো প্রতিষ্ঠান টিকেট বিক্রি বন্ধ রাখেনি।
“কিছুকিছু কোম্পানি দিচ্ছে, কিছু কোম্পানি দিচ্ছে না। কারণ হচ্ছে ইন্টারনেট তো বন্ধ। যে কারণে অনেকেরই কানেটিভিটি নেই। ফলে যার যার সক্ষমতা আছে তারা দিচ্ছে। যাদের নেই তারা দিতে পারছে না।”
শনিবার বার সন্ধ্যা থেকে মোবাইল ইন্টারনেটের ফোর-জি ও থ্রি-জি সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারিগরি ক্রটির কারণে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে রোববার দুপুরে দাবি করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
তবে প্রায় ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মোবাইল ইন্টারনেটের ফোর-জি ও থ্রি-জি সেবা পেতে শুরু করেছেন গ্রাহকরা।
শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের পাল্টায় পরিবহন মালিক শ্রমিকদের অঘোষিত ধর্মঘট অব্যাহত থাকার সঙ্গে টিকিট বিক্রি না হওয়ার কোনও সম্পর্ক আছে কি না জানতে চাইলে সোহেল তালুকদার বলেন, “আমি মনে করি না এর সঙ্গে এই আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক আছে।”
গত ২৯ জুলাই ঢাকায় বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনে বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর হয়। এরপর শুক্রবার থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
“বর্তমান পরিস্থিতির কারণে টিকেট দেওয়া স্থগিত করা হয়েছে। শ্রমিকরা আসতে পারতেছে না। এটা মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত।”