মিরসরাই প্রতিনিধি
মোঃ শেখ ফরিদ ছোট বেলায় পিতাকে হারান। ঘরে বৃদ্ধ মা, দুই ছেলে এক মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে অভাবের সংসার। পরিবারের সম্পদ বলতে শেখ ফরিদের শ্রম আর তার সবল হাত-পা। বাড়ীঃ-বসুল্লা টেন্ডল বাড়ী, গ্রামঃ- দক্ষিন বামুন সুন্দর (বামুনসুন্দর দারোগারহাট) থানাঃ- জোরারগঞ্জ, উপজেলাঃ- মিরসরাই। ৮ বছর ধরে দারোগারহাট ‘স’ মেইলের ট্রলি চালিয়ে পরিবারের ৬ সদস্যের মুখে আহার তুলে দিচ্ছেন। প্রতিবেলায় ভালো কিছু না হোক, মোটা চালের সাদা ভাতে সুখেই কাটছিলো সাদামাটা শেখ ফরিদের জীবন। ‘স’ মেইলের গাছ আনতে ট্রলি নিয়ে যাওয়ার সময় ১৫ নভেম্বর ২০১৭ং সুফিযা মাদ্রাসার উত্তর পাশে মারাত্বক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে জীবন বাঁচানোর জন্য রোজগারের একমাত্র অবলম্বন দুটি পা কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বাম পা কেটে ফেলা হয় হাটুর উপর থেকে। ডান পা অপারেশন করে স্ক্রু সাহায্যে রড দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়। একটি পা হারিয়ে দীর্ঘ দুই বছর স্ক্যাচে ভর দিয়ে যন্ত্রনার জীবনের গ্লানি টানতে টানতে এখন আরেকটি পা বাঁচানোর জন্য মাত্র ১লাখ ২০হাজার টাকা যোগাড় করতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে শেখ ফরিদ। সংবাদ পত্রের মাধ্যমে মানবিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন,ও দানশীলদের কাছে সাহায্য কামনা করতে এসেছেন মিরসরাই প্রেসক্লাবে। এই অক্টোবর মাসের মধ্যে টাকা যোগাড় করে ১নভেম্বর অপারেশন হবে পায়ের রড খোলার জন্য। এসব মানবিক কাজে এগিয়ে থাকা হৃদয়বান মানুষের অভাব নেই আমাদের সমাজে। আপনারা একটি পরিবারের ৬জন অসহায় সদস্য আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাদের ভরসা আল্লাহ হয়তো একটি ব্যবস্থা করে দিবেন। তিনি কাউকে নিরাস করেননা। অন্তত এক পা বাঁচলেও কোন রকমে ৬জনের মুখে আহার উঠবে। আবার জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে শেখ ফরিদ। একবার ভাবুন একটি পা হলে ৬টি প্রাণ বাঁচবে….।
শেখ ফরিদের বিকাশ নাম্বারঃ-০১৮৩৬-১৬৫১২৬