এবার ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার সীমা বেঁধে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

312

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন শর্তের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ লভ্যাংশের কয়েকটি ধাপ ঠিক করে দেয়া হয়েছে। কোনো ব্যাংক এই সীমার বেশি লভ্যাংশ দিতে পারবে না। ইতিমধ্যে যেসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করে ফেলেছে, সেগুলোর লভ্যাংশের হার যদি এই সীমার বেশি হয়ে থাকে তাহলে তা স্থগিত করে সংশোধন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া নগদ লভ্যাংশের ক্ষেত্রে ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা যখনই অনুষ্ঠিত হোক না কেন, ২০শে সেপ্টেম্বরের আগে তা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করা যাবে না।

আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে। সার্কুলারটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, নানা শর্ত দিয়ে মূলত এবার লভ্যাংশ ঘোষণাকে নিরুৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর তা এই সার্কুলারে বেশ স্পষ্ট করে স্বীকারও করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, (করোনা সংক্রমণে) সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং খাতে সৃষ্ট চাপ মোকাবিলা করে ব্যাংকগুলো যাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে যথার্থ অবদান রাখতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর মুনাফা অবণ্টিত রেখে (কার্যত লভ্যাংশ না দিয়ে) মূরধন শক্তিশালী করার মাধ্যমে পর্যাপ্ত তারল্য বজায় রাখা একান্ত অপরিহার্য।

সার্কুলারে বর্ণিত লভ্যাংশ নীতিমালা অনুসারে নিচের ধাপে লভ্যাংশ (Dividend) ঘোষণা করা যাবে-

প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতিপূর্বে গৃহীত ডেফাররাল (Deferral) সুবিধার অধীন নয় এমন বা ২০১৯ সালের জন্য কোনো Deferral সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যে সকল ব্যাংকের ২.৫% ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যুনতম ১২.৫০% বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম, সে সকল ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১৫% নগদসহ মোট ৩০% ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।

প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতিপূর্বে গৃহীত Deferral সুবিধার অধীন নয় এমন বা ২০১৯ সালের জন্য কোনো Deferral সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যে সকল ব্যাংকের ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যুনতম ১১.২৫% হতে ১২.৫০% বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম, সে সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমদনক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৭.৫% নগদসহ মোট ১৫% ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।

প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতিপূর্বে গৃহীত Deferral সুবিধার অধীন নয় এমন বা ২০১৯ সালের জন্য কোনো Deferral সুবিধা সম্পূর্ণরূপে সমন্বয় করা হলে যে সকল ব্যাংকের ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যুনতম ১১.২৫% বা তার বেশি থাকে সে সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমদনক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৫% নগদসহ মোট ১০% ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।

প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতিপূর্বে গৃহীত Deferral সুবিধার অধীন নয় এমন বা ২০১৯ সালের জন্য কোনো Deferral সুবিধা সম্পূর্ণরূপে সমন্বয় করা হলে যে সকল ব্যাংকের ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যুনতম ১১.২৫% এর কম কিন্তু ন্যনতম সংরক্ষিত মূলধন ১০% হবে সে সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমদনক্রমে সর্বোচ্চ ৫% স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here