এমপি হারুনের জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন খারিজ

171

 

শুল্ক ফাঁকি সংক্রান্ত মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগ বেঞ্চ রোববার এই খারিজাদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দুদকের এ মামলায় তাকে পাঁচ বছরের দণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ মামলার পলাতক আসামি চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মামলার অপর পলাতক আসামি ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় এমপি হারুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন। ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে একই বছরের ২৮ অক্টোবর বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেনের একক বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। পরে দুদক এ জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। তখন আপিল বিভাগ নো অর্ডার আদেশ দেন। এরপর হারুন জামিনে মুক্তি পান।

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, এর মধ্যে দুদক জামিন আবেদনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন। যেটি আজ রোববার খারিজ হয়ে যায়।

হারুন বিএনপি জোট সরকারের সময় এমপি থাকাকালে ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হ্যামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনেন। গাড়িটি তিনি পরে ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডি বাপ্পীর কাছে বিক্রি করেন। নিয়ম অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু এমপি হারুন শুল্ক না দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন বলে মামলায় বলা হয়।

সূত্র : বাসস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here