নিজস্ব প্রতিনিধি
মিরসরাইয়ে আরো তিন জনের করোনা ভাইরাসে (কোভিড- ১৯) আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের একমাত্র করোনা পরীক্ষার ল্যাব বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) -তে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে এক বৃদ্ধ নারায়নগঞ্জ থেকে কয়েকদিন আগে নিজ বাড়িতে ফিরে আসায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনায় ঝড় উঠেছে। শনিবার (১৮ এপ্রিল) নমুনা সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান।
ডা. মিজানুর রহমান জানান, আমরা এর আগে আরো ০৮ জনের নমুনা মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করেছি। তাদের সকলে রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে দূর্গাপুর, মস্তানগর এলাকাসহ আরো তিন জনের নমূনা সংগ্রহ করে রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, উপজেলার ৭নং কাটাছড়া ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের ৭০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধ জ্বর, শর্দি, স্বাসকষ্ট, বুকের ব্যাথা নিয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে বাড়ী ফিরছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়। খবর নিয়ে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল শারীরিক অবস্থা খারাপ অনুভব করায় পরিবারের লোকজন তাঁকে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) টেষ্ট করার জন্য ঐদিনই ভোর সাড়ে ০৬ টায় আন্দরকিল্লাহ জেনারেল হাসপাতালের ১০ নং ওয়ার্ডের ২৯ নাম্বার বেডে ভর্তি করানো হয়। যার রেজিষ্ট্রশন নাম্বার (R 7908/20) সম্বলিত একটি প্রেসক্রিপশনও পাওয়া যায়। ডাক্তার চিকিৎসার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের টেষ্ট করানোর জন্য নমূনা (রক্ত) সংগ্রহ করার (COVID- 19 TEST SAMPLE TAKEN) একটি প্রেসক্রিপশন পাওয়া যায়। জানা যায়, রিপোর্ট আসার আগেই তিনি ঐদিনই (শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ বাড়ীতে চলে আসেন। তবে, স্থানীয় জনসাধারণ, প্রতিবেশিরা মনে করছে রিপোর্ট পাওয়ার পর তার বাড়িতে আসা উচিত ছিল। কারণ, তার কারণে অনেকেই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকতে পারে। তাদের বক্তব্য হল তিনি করোনাভাইরাসের সংক্রমিত এলাকা নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন।
এ বিষয়ে জানতে ডা. মিজানুর রহমান বলেন, বয়স্ক রোগিটির খারাপ অবস্থা দেখে আমরাই পাঠিয়েছিলাম আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে। নমূনা সংগ্রহের পর পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার আগে ফিরে আসার বিয়য়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার এক্স-রে করা হয়ে থাকতে পারে বলে জানান। তিনি বলেন, ডাক্তার যদি মনে করে তার করোনাভাইরাসের কোন প্রাদূর্ভাব নেই তাহলে শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে রিলিজ করে দিতে পারে হাসপাতাল। এছাড়া লোকটা যেহেতু বয়স্ক এই মূহুর্তে তার শ্বাস কষ্ট, জ্বর, কাশিজনিত সমস্যা থাকাটা বয়স জনিত কারণেও হতে পারে। রিপোর্ট না আসার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।