করোনার টিকা নিয়েও সরকার দুর্নীতি ও চুরি করার অভ্যাস ছাড়তে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি করোনার শুরুতে স্বাস্থ্য বিভাগকে দিয়ে কী দুর্নীতি করা হয়েছে। করোনার টেস্টিংয়ের ব্যাপারে রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে যে চুক্তি হয়েছিল সেখানে দুর্নীতির ফলে বর্তমানে সাজা পাচ্ছে রিজেন্টের মালিক। কিন্তু যে মন্ত্রী বা সচিব সেই চুক্তি করেছিলেন তাদের কোনো জবাব দিতে হয়নি।’
শনিবার ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের মধ্যে যখন কোনো জবাবদিহি থাকে না, পার্লামেন্টে যখন কোনো দুর্নীতির জন্য কাউকে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা যায় না, তখন তো সে দেশে এই দুর্নীতিটাই স্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, ‘সমগ্র পৃথিবীর মানুষ যখন এই করোনার টিকাকে তারা কীভাবে বিতরণ করবে, কাদের আগে দেবে বা পরে দেবে, কী টাকা লাগবে না লাগবে এসব নিয়ে যখন আলোচনা করছে সে সময় কিন্তু আমাদের দেশের সরকার এখন পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু বলতে পারেনি।’
বিভিন্ন উপজেলা ও উপনির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করা নিয়ে দলের মহাসচিব বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার অর্থ জনগণের কাছাকাছি গিয়ে কথা বলা।
‘নির্বাচনে বিএনপি যাচ্ছে শুধু গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে, আর জনগণকে সাথে নিয়েই এ সরকারকে বাধ্য করা হবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে,’ বলেন তিনি।
৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন ঘোষণা বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগেই ঘোষণা দিয়েছি ৩০ ডিসেম্বরকে আমরা জনগণের ভোটাধিকারের হত্যাদিবস হিসেবে পালন করছি। এটা শুধু আমরা নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষ সবাই খুব ভালো করে জানেন ২০১৮ সালে যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল সেটি ২৯ ডিসেম্বর রাতেই হয়ে গেছে।’
‘আওয়ামী লীগ পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সমস্ত ভোট ডাকাতি করে নিয়ে গেছে সেদিন। জনগণকে তার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তাদের যে লক্ষ্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা সেটি প্রতিষ্ঠিত করেছে,’ বলেন তিনি।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : ইউএনবি