মিরসরাই প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাসের কারণে যেখানে অনেক সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা থেকে বিরত রয়েছেন সেখানে অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম ডা. ইকবাল হোসেন নিজামী। তিনি প্রায় ৩মাস ধরে মিরসরাইয়ের কয়েকটি স্থানে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সব চিকিৎসক এভাবে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসলে ভোগান্তি কমতো সাধারণ রোগীদের। চেম্বারের পাশাপাশি মোবাইল ও ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমেও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন তিনি। ডাঃ ইকবাল হোসেন নিজামী বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সবার ঘরে থাকার বিকল্প নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা সবার মেনে চলা উচিত। একই সাথে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে সবার ঘন ঘন হাত ধোয়া উচিত।
বিশ্বের এক করুণ মহামারীর নাম কোভিট-১৯ বা নোবেল করোনা ভাইরাস। সারা পৃথিবী আজ এই এক ভাইরাসের সংক্রমণে অসহায়। তার থেকেও অসহায় যে সকল মানুষ এই ভাইরাস ছাড়া অন্যান্য রোগে আক্রান্ত বা ভুগছেন। এক অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে চলছে যুদ্ধ। যে যুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা হচ্ছেন ডাক্তার। জীবনের মায়া ত্যাগ করে দিন রাত এক করে কিছু ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধারা রোগিদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সারা বিশ্বের হাজারো ডাক্তার। ইতিমধ্যে এই ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন এবং ভাইরাসের কাছে পরাজয় শিকার করে মৃত্যু বরণও করেছেন।
বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে অনেক ডাক্তার আক্রান্ত হন এবং মৃত্যু বরণ করেছেন সংক্রমণ হয়েছেন প্রায় কয়েক হাজার ডাক্তার। তাই শুরু থেকেই অনেক ডাক্তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে রুগী দেখা প্রায় বন্ধ করেদেন। কিন্তু জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতির কিছু শ্রেষ্ঠ সন্তান বসে নেই। তারা আপামর জনগণকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন শুরু থেকেই।
তেমন একজন নিঃস্বার্থ পরোপকারী মানবিক চিকিৎসক মিরসরাইয়ের কৃতী সন্তান জেনারেল ফিজিশিয়ান মেডিসিন, গ্যাস্টোলিভার ও শিশু রোগে অভিজ্ঞ ডাঃ মোঃ ইকবাল হোসেন নিজামী। । তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্টোলিভার বিভাগে প্রশিক্ষণরত। মিরসরাই উপজেলার ১৫ নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের হাদি ফকিরহাট গাছবাড়িয়া গ্রামের মুকিম সারেং বাড়ির বাসিন্দা ওমান প্রবাসী নিজাম উদ্দিন ও আমেনা বেগমের সন্তান ডাঃইকবাল।
করোনা সংকটে জনগণের পাশে থাকার ব্যাপারে ডাঃ ইকবাল বলেন, মানব সেবার ব্রত নিয়েই এই মহান পেশায় এসেছি। তাই ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে জনগণের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমি দুর্গাপুর বাজারে মজুমদার ফার্মেসী, বামনসুন্দর দারোগার হাট বাজারে বিসমিল্লাহ ফার্মেসী ও হাদি ফকিরহাট আবির মেডিকেল হলে নিয়মিত রুগী দেখছি। তিনি বলেন, এমন ক্লান্তিলগ্নে আমি যেন মানুষকে সব সময় চিকিৎসাসেবা দিতে পারি এজন্য সকলের সহযোগীতা ও দোয়া কামনা করছি।