করোনা উপসর্গ নিয়ে ফ্ল্যাটের সিঁড়িতে মৃত্যু কোটিপতি ব্যবসায়ীর,লাশের কাছেও আসেনি স্বজনরা

205

 

করোনা উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়ির সিঁড়িতে পড়েই মারা গেছেন নারায়ণগঞ্জের কোটিপতি এক ব্যবসায়ী। শহরের গলাচিপা এলাকা নিজ বাড়ির সিঁড়িতে পড়ে খোকন সাহা (৫২) নামের ওই ব্যবসায়ী মারা যাওয়ার পর লাশ ঐখানে পড়ে থাকে।

তবে নির্মম এই মৃত্যুর পর লাশ ছুঁয়েও দেখেনি তার আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা। স্ত্রী কন্যাদের কান্না দেখেও মন গলেনি তাদের।
মৃত ওই ব্যবসায়ী কালীরবাজারে একটি অভিজাত কনফেকশনারির মালিক। তিনি স্ত্রী ও ছোট দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস সেখানে করতেন।
তিনি শহরের অন্যতম ধনী ব্যাক্তি ছিলেন।

রোববার বেলা ১২টার দিকে খবর পেয়ে লাশ সংগ্রহ করেন নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিনি ও তার স্বেচ্ছাসেবকরা লোকজন সৎকার সম্পন্ন করেন। মৃতের সম্প্রদায় কিংবা তার স্বজনরা কেউ না আসায় মুখাগ্নি করেন কাউন্সিলর খোরশেদ নিজেই।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তির বাড়িতে তার স্ত্রী ও দুটি ছোট ছোট মেয়ে আছেন। তার শারীরিক অবস্থা যখন খারাপ হয় তখন আশপাশের ফ্ল্যাটে থাকা তার বন্ধুদের এবং পরিচিত আত্মীয় স্বজনদের ডেকেছিলেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কেউ তার ডাকে সাড়া দেয়নি। পরে স্ত্রী ও ছোট দুই মেয়েই বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে নামিয়ে আনছিলেন। তবে নামানোর পথে সিঁড়িতেই তিনি মারা যান। এরপরও কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে কাউন্সিলর খোরশেদকে খবর দেওয়া হয়।

কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, সকালের দিকে যখন তিনি করোনা পজিটিভ এক নারীর দাফন করছিলেন; তখন তার কাছে ফোন আসে। জানতে পারেন ওই ব্যবসায়ী মারা গেছেন। কিন্তু তার আত্মীয় স্বজন বিষয়টি ফোন করে জানালেও কেউ লাশের কাছে আসেনি।

খোরশেদ বলেন, শহরের গলাচিপায় এলাকায় প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ী তিনি। তিনিসহ তার ৭ বন্ধু মিলে একটি সাততলা ভবনটি তৈরি করেছিলেন। সেখানে থাকতেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ওই ভবনের তিন এবং চারতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে তার লাশ পড়ে আছে। পরে তার সৎকারের ব্যবস্থা করি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here