নিজস্ব প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এবার দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কারাবন্দী বিএনপি নেতার স্ত্রী। কবিরহাট উপজেলার ৩নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের এ ঘটনায় যুবলীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন নির্যাতিতা ওই নারী (৩২)।
এ ঘটনায় কবিরহাট থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে শনিবার নোয়াখালীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে কারাবন্দী বিএনপি নেতার ওই স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, স্বামীর অনুপস্থিতিতে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় একই এলাকার যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন সহ ৪/৫ জন ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে তার মুখ বেঁধে ফেলে এবং সন্তানদেরও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। পরে কয়েকজন তাকে ধর্ষণ করে অজ্ঞান করে ফেলে রেখে যায়।
তিনি জানান, রাত ৩ টার দিকে তার সন্তানদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে এবং শনিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতিতার সঙ্গে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবলীগ সহসভাপতি জাকির হোসেনের (৪০) নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে।
নির্যাতিতা আরও জানান, স্বামী স্থানীয় বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী হওয়ায় এবং ব্যারিস্টার মওদুদের পক্ষে থাকায় ধর্ষক জাকির হোসেন ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলা দিয়ে তার স্বামীকে কারাগারে পাঠায়। স্বামীর অবর্তমানে তাকে কয়েকবার কুপ্রস্তাব দেয় ধর্ষকরা। তাতে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার দিবাগত রাতে তারা এই ঘটনা ঘটায়।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মদ হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার প্রধান আসামি জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফজলে রাব্বী জানান, নির্যাতিতাকে দুপুরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে গাইনি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খলিলুর রহমান জানান, তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।