দলীয় কার্যালয়ে যুবলীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের ইয়াবাসহ মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নূর হোসেন মাসুদ ওরফে মাটি মাসুদকে ইয়াবা সেবন করতে দেখা যায়। এতে যুবলীগ নেতা মাসুদকে মুখে তুলে ইয়াবা সেবনে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মেম্বার জামালউদ্দিন বাহার ওরফে গুটি বাহার।
বাহার ইউপি সদস্যের পাশাপাশি কাদিরপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগেরও সভাপতি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, প্রায় এক যুগ (২০০৪-২০১৬) বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন নূর হোসেন মাসুদ বেগমগঞ্জ ও আশপাশের এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। ২০১৫ সালে র্যাব ও বিজিবি দুই দফায় মাদক ব্যবসার অভিযোগে মাসুদের চৌরাস্তার কুরিপাড়ার বাসায় অভিযান চালায়। বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে মাসুদ ২০১৬ সালে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পদ বাগিয়ে নেন। এরপর থেকেই আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন মাসুদ।
প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা ও দখল বাণিজ্য চালিয়ে গেলেও স্থানীয়রা ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাননি। মাসুদের ইশারায় আরেক মাদক বিক্রেতা বাহার হন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার। মাসুদ নিজে ২০১৯ সালে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।জানা যায়, নূর হোসেনের মাদক ব্যবসা ও দখলবাজিতে ক্ষুব্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগ।
বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জেলা যুবলীগের আহ্বায়কের কাছে চিঠি দিয়ে নূর হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ কিরণ এমপি। চিঠিতে বলা হয়, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক নূর হোসেন মাসুদ দীর্ঘদিন থেকে ইয়াবা সেবনসহ বিভিন্ন সংগঠনবিরোধী অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় দলের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই সুনাম ও শৃঙ্খলা রক্ষায় তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জোর সুপারিশ করা হলো। চিঠিতে ইয়াবা সেবনের দুটি ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে।