
রিজভী হাওলাদার। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল। খালেদা জিয়ার একনিষ্ঠ ভক্ত। নারায়ণগঞ্জে বসবাস করলেও সারাদিন পড়ে থাকেন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে কাফনের কাপড় পড়ে ঘুরে বেড়ান। বিএনপির যেকোন সভা সমাবেশে সবার আগে উপস্থিত হন কাফনের কাপড় পরে। বিএনপি চেয়ারপারসন মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত এভাবে কাফনের কাপড় পরে প্রতিবাদ জানানোর প্রত্যয় তার।
রিজভী হাওলাদার মানবজমিনকে বলেন, প্রতিদিন সকাল ৭ টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ে আসি। সারাদিন সেখানেই থাকি। রাত ১১ টার দিকে ফিরে যাই।
কর্মসূচি না থাকলে কাফনের কাপড় খুলে সাধারণ পোশাকে থাকেন তিনি। তবে বড় কোন কর্মসূচির দুই একদিন আগে থেকেই কাফনের কাপড় পড়ে ঘুরে বেড়ান।
তিনি বলেন, যেদিন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে সেদিন তিনি কাফনের কাপড় ছাড়বেন।
বৃহস্পতিবার মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির গণঅনশনে দেখা যায় রিজভী হাওলাদার গায়ে কাফনের কাপড়, মাথায় লাল কাপড় ও গলায় একটি প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মাথায় লাল কাপড় একটু ফিতা দিয়ে বেধে দেয়া। যাতে লেখা খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। গলায় ঝুলানো প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে তারেক রহমানের অবৈধ সাজা প্রত্যাহার কর, করতে হবে।
মহানগর নাট্যমঞ্চের অনশন কর্মসূচি শুরু হওয়ার প্রায় ঘন্টা খানেক আগেই চলে আসেন রিজভী হাওলাদার। কর্মসূচি চলাকালীন পুরো নাট্যমঞ্চ এলাকায় ঘুরে বেড়ান। নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে সেলফি তোলেন। বিএনপির সকল বড় কর্মসূচিতে একই বেশে দেখা যায় রিজভী হাওলাদারকে।
