চট্টগ্রামে যুবলীগের দু’গ্রুপের মারামারি, কাউন্সিলরসহ আহত ১২

265

 

যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের দু’গ্রুপের মারামারিতে আলোচনা সভা পন্ড হয়েছে। এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। লালদীঘি মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার দিকে এ মারামারির ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মো. মোবারক আলীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের একাংশের নেতারা বলছেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একটি মহল ইন্ধন দিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘাত তৈরি করে সভা পন্ড করেছে।

চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের বড় অংশ নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী। এ কারণে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরোধী অংশ হিসেবে পরিচিতরা সভা পন্ড করতে ইন্ধন দিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। তারা বলেন, কাউন্সিলর মোবারক আলী একটি মিছিল নিয়ে সভায় এসেছিলেন।

তিনি প্রবেশের সময় গেইটে নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এর সূত্র ধরে পরে আবারও মারামারি হয়েছে। মোবারক আলীসহ কমপক্ষে পাঁচ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু বলেন, বহিরাগত দুষ্কৃতিকারীরা সভায় মারামারি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।

চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ নাসির বলেন, বাচ্চু ভাই বক্তব্য শেষ করার মিনিটখানেক আগে হঠাৎ চেয়ার মারামারি শুরু হয়।

এটা আমাদের কাছে পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা মনে হয়েছে। সুশৃঙ্খল সংগঠনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সভা পন্ড করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সমাবেশে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখে বক্তব্য না রেখেই তিনি অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান বলেন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের মারামারিতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দলীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ আলোচনা সভা ও র‌্যালির আয়োজন করেছিল। বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন। যুগ্ম আহ্বায়ক দিদারুল আলমের সঞ্চালনায় সভা শুরুর পর ৫ জন নেতা বক্তব্য রাখেন। এরা হলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাফ হোসেন বাচ্চু ও সৈয়দ মাহমুদুল হক, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন খোকা ও আলতাফ হোসেন বাচ্চু। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আলতাফ হোসেন বাচ্চুর বক্তব্যের চলাকালে মাঠে দুপক্ষে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়। এরপর উভপক্ষের সমর্থকরা  একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ও ইটের টুকরা ছুঁড়তে শুরু করে। ১০ মিনিট উভয়পক্ষে সংঘাতের পর পুলিশ উভয়পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেয়। এর আগেই মঞ্চ ছেড়ে যান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে অতিথি করা হলেও তিনি যাননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here