নগরীর শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজায় ভাংচুরের পর এএসপি পদমর্যাদার এক পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে সেতুর টোল প্লাজার দুটি টোল আদায় বক্স ভাংচুর এবং সেখানে কর্মরত দুই কর্মীকে মারধর করেন মিরসরাই সার্কেলের এএসপি মশিয়ার রহমান।
শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজার পরিচালক (অপারেশন) অপূর্ব সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই কর্মকর্তা সাদা পোশাকে পুলিশের পিকআপ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখী হয়ে ৬ নম্বর টোল বক্সের লাইনে ছিলেন।
“কয়েকটা গাড়ির পেছনে থাকায় তিনি একটি লাঠি নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে এসে কোনো কারণ ছাড়াই টোল কক্ষে ভাংচুর চালান এবং টোল আদায়কর্মীকে মারধর করে বের করে দেন। এভাবে আরও একটি টোল বক্সে প্রবেশ করে তিনি দরজা ভাংচুর করেন।”অপূর্ব সাহা বলেন, এএসপি মশিয়ার সাদা পোশাকে থাকলেও তার সঙ্গে পিস্তল ছিল।
ঘটনার সময় টোল প্লাজার এক কর্মকর্তা ঘটনা জানতে তার কাছে গেলে এএসপি মশিয়ার চড় মারেন বলেও জানান অপূর্ব।
ভাংচুরের পর পুলিশ কর্মকর্তা মশিয়ার কক্সবাজারমুখী সড়ক ধরে চলে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ঘটনা চট্টগ্রাম জেলা পুলিশকে জানানো হলে এএসপি মশিয়ার রহমানকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ অফিসে সংযুক্ত করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনাটি সিএমপি (চট্টগ্রাম নগর পুলিশ) এক সার্জেন্টের মাধ্যমে আমরা জেনেছি। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বিনা অনুমতিতে কোথাও যাচ্ছিল। এ অবস্থায় ওই টোল প্লাজায় সে অসদাচরণ করেছে।“ঘটনার পর জেলা পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে জেলা পুলিশ অফিসে নিয়ে এসে তাকে প্রত্যাহার করে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।”
নুরে আলম মিনা বলেন, বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে জানানো হয়েছে।