চট্টগ্রামে ১২ ব্যাংকার মিলে সাড়ে ১১ কোটি টাকা মেরে দিলেন

216

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুয়া কাগজ তৈরি করে সরকারি খাসজমি বন্ধক রেখে সাড়ে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, সরকারি খতিয়ানভুক্ত ৫৪ দশমিক ৬৯ শতক জমি ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করে যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের কাছে বন্ধক রেখে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৮ টাকা অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী শাখার যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের ৫ কর্মকর্তাসহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ উপসহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় উপসহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফকে।

এদিকে আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ কর্মকর্তা হলেন সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংক ভাটিয়ারী শাখার সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার সাহাব উদ্দিন, তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা হিংগুলি গ্রামের মৃত বশির আহমদের পুত্র। যমুনা ব্যাংক ভাটিয়ারী শাখার সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার সুব্রত বড়ুয়া। তিনি ফটিকছড়ি থানার ধর্মপুর গ্রামের ফনী ভূষণ বড়ুয়ার পুত্র। যমুনা ব্যাংক ভাটিয়ারী শাখার সাবেক এভিপি সাব-ম্যানেজার ও বর্তমানে ইউনিয়ন ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার এভিপি মো. গোলাম সরোয়ারুল হক। তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার হারবাং গ্রামের মোজাম্মেল হকের পুত্র। যমুনা ব্যাংক ভাটিয়ারী শাখার সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ও বর্তমান এসবিএসি ব্যাংকের ভাটিয়ারী শাখার এফভিপি ও ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী। তিনি হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা গ্রামের মোহাম্মদ জানে আলম চৌধুরীর পুত্র। যমুনা ব্যাংক ভাটিয়ারী শাখার সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার ও বর্তমানে আগ্রাবাদ শাখার এফভিপি অফিসার মোহাম্মদ রায়হান। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানার ছোট হরণ গ্রামের মোহাম্মদ শাহাজানের পুত্র।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপসহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ও বর্তমানে কর্মরত ৫ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে সরকারি খতিয়ানভুক্ত ৫৪ দশমিক ৬৯ শতক জমি ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করে বেসরকারি প্রাইভেট ব্যাংকে বন্ধক রেখে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৮ টাকা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।’

গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে ডবলমুরিং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্তকালে এ ঘটনায় অন্য কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here