চট্টগ্রাম: করোনা ভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও বোরোর বাম্পার ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ধান ঘরে তুলতে পেরে চট্টগ্রাম অঞ্চলের চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছিল।
এবার আমন ধানেও বাম্পার ফলন হয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় ৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৮৩ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। এখান থেকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১২ মেট্রিক টন ধান পাওয়ার আশা কৃষি কর্মকর্তাদের। এর মধ্যে হাইব্রিড ৬ হাজার ৭১৫ মেট্রিক টন, উফশী ৯৬ হাজার ৮৭২ ও স্থানীয় ১৫ হাজার ২৫ মেট্রিক টন।
এদিকে দুই সপ্তাহ আগেই আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৩ হাজার ৮৩৬ হেক্টর জমিতে ধান কাটা শেষ। চট্টগ্রাম জেলায় হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় মিলে চাষ হয় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪০ হেক্টর। এ জেলায় ২০ হাজার ৩৮৭ হেক্টর ধান কাটা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ১ হাজার ৬২০ হেক্টর, উফশী ১৫ হাজার ২৬৭ ও স্থানীয় ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর।
কক্সবাজার জেলায় ৭৯ হাজার ১০৮ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়। এর মধ্যে ৫ হাজার ৫৩৫ হেক্টর ধান কাটা শেষ। নোয়াখালী জেলায় ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়। এর মধ্যে ১২ হাজার ৮০০ হেক্টর ধান কাটা শেষ হয়েছে।
ফেনীতে ৬৬ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়। এখানে ইতোমধ্যে ২ হাজার ৬৬১ হেক্টর ধান কাটা শেষ। লক্ষ্মীপুরে আমন আবাদ করা হয় ৮১ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে। এখানে ধান কাটা হয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ হেক্টর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও বোরো ধান যেমন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পেয়েছি, তেমনি আমন চাষেও পর্যাপ্ত ধান পাচ্ছি। এবারে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে উফশী ধান, যার পরিমাণ ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭২ হেক্টর।
তিনি বলেন, আমন আবাদে হেক্টর প্রতি লক্ষ্যমাত্রা ছিলো হাইব্রিড ৪ দশমিক ১৭ মেট্রিক টন, উফশী ২ দশমিক ৭৯ মেট্রিক টন ও স্থানীয় ১ দশমিক ৬৭ মেট্রিক টন। ধান কাটা শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত হেক্টর প্রতি হাইব্রিড পাচ্ছি ৪ দশমিক ০৯ মেট্রিক টন, উফশী ২ দশমিক ৯৫ ও স্থানীয় ১ দশমিক ৬১ মেট্রিক টন।