চট্টগ্রাম বন্দরে করোনার থাবায় ১৪ জনের মৃত্যু, পজিটিভ ৪৩২

268

 

দেশের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরে করোনা খুব শক্তভাবে থাবা বসিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে এ পর্যন্ত মোট ৪৩২ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সচিব আবদুল মান্নান, সাবেক সিবিএ নেতা ফখরুল আলম, বন্দরের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাসহ ১৪ জন।

সর্বশেষ আক্রান্ত বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মোমিনুর রশিদ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার (৯ নভেম্বর) তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটি আসে। তিনি সরকারের উপ সচিব পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘করোনার সাধারণ ছুটির মধ্যেও ২৪ ঘণ্টা চালু ছিল বন্দর। দেশের চলমান আমদানী-রফতানীর গতি সচল রাখতে চালু রাখতে হয়েছে বন্দরকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।’

তিনি বলেন, ‘আমদানি-রফতানী পণ্য শুল্কায়নে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টরা খালাসের জন্য বন্দরে আসেন। প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার সেবাগ্রহণকারী কাস্টম হাউজ ও বন্দরে আসার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না।’

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরীক্ষার জন্য বন্দর হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়ে। মোট আক্রান্ত হন ৪৩২ জন। রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে ১৯৫২ জনের। রিপোর্ট অপ্রকাশিত আছে ৫৩ জনের। এদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ৯৯৪ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ১১৬ জন। শুধুমাত্র ৯ নভেম্বর একদিনে নমুনা নেওয়া হয়েছে ১১ জনের।

এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে বন্দর সংশ্লিষ্ট ৯৯৪ জন করোনা মুক্ত হয়েছেন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩৫৭ জন। এ ছাড়া বন্দর হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি আছেন ১ জন রোগী। আইসোলেশনে আছেন ২ জন।

বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্দরের জেটি এলাকায় প্রতিদিন ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চালক ও সহকারী, সিএন্ডএফ এজেন্ট, শিপিং এজেন্ট, ফ্রেড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টসহ বিভিন্ন সেবাগ্রহণকারীরা ভিড় করেন। ফলে এসব জায়গায় সব সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না। এসব কারণে এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করোনা আতঙ্কে ভুগছেন।

এদিকে শনিবার সকালে মো. মোমিনুর রশিদ বন্দর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার নমুনা দেন। সোমবার রির্পোটে তাঁর করোনা পজেটিভ আসে। তিনি বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের সিবিএ’র ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নাইমুল ইসলাম ফটিক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মোমিনুর রশিদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here