চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরকে দলের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে মহানগর ছাত্রলীগের একাংশ।
শুক্রবার রাতে সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক আশরাফ উদ্দীন টিটু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এতে দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অস্ত্রবাজদের স্থান, মাদক ব্যবসা ও ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি তালেব আলীর নেতৃত্বে শুক্রবার এক সভা ডেকে নগর ছাত্রলীগের ৪৬ সদস্য সভাপতি ইমরান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে দলীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি (অনাস্থা) দেন।
ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বদ্বয়ের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে বলা হয়, নগর ছাত্রলীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বানের নিয়ম থাকলেও বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সম্মেলনবিহীন পাঁচটি থানা কমিটি গঠন করেছে। কমিটিগুলোতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বিতর্কিত ও বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্তদের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করেছে।
এদিকে দীর্ঘদিন পর গত বৃহস্পতিবার রাতে ডবলমুরিং ও চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
ছাত্রলীগের নেতাদের অভিযোগ, আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিজেদের অনুগতদের দিয়ে কমিটি দিয়েছে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।
সম্মেলন ছাড়াই সদ্য ঘোষিত ডবলমুরিং থানা ও চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে শুক্রবার নগরীর দেওয়ানহাট, চৌমুহনী মোড়, বহদ্দারহাট ও কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের একটি অংশ। এসময় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধও করে তারা।