ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১৬ জন

237

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৩ জন সহ সভাপতি, ১ জন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে ১৬ জন স্থান পেয়েছেন। এ ১৬ জনের মধ্যে ১ জন ছাড়া অবশিষ্ট ১৫ জন সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ঐ ১ জন উপ ছাত্র বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলনের এক বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। বিশাল এই কমিটিতে চট্টগ্রাম থেকে স্থান পেয়েছেন ১২ জন, কক্সবাজার থেকে ২জন, বান্দরবান থেকে ১ জন ও খাগড়াছড়ি থেকে ১জন। কমিটিতে একেবারে কম সংখ্যক পদে স্থান পাওয়ায় চট্টগ্রামের ছাত্র নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কমিটিতে স্থান পাওয়া চট্টগ্রাম থেকে তিনজন সহ সভাপতি হলেন তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির(পটিয়া), ডা. মনজুর মোর্শেদ অসীম (চন্দনাইশ), মাহমুদুল হাসান তুষার(সন্দ্বীপ)। সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন (বহদ্দারহাট), বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার ছেলে সাদুন মোস্তফা। উপ প্রচার বিষয়ক সম্পাদক রায়হান আহাদ চৌধুরী (ফটিকছড়ি), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন এইচ এম তাজ উদ্দিন (চকরিয়া)। উপ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ২জন হলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুরের ছেলে রবিন বাহাদুর (বান্দরবান) ও রিন্টু বড়ুয়া (বাঁশখালী), উপ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বকুল (পটিয়া), উপ ছাত্র বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক ২ জন হলেন ফৌজিয়া ইসলাম তামান্না (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, তার গ্রামের বাড়ি মীরসরাই) ও শাহনেওয়াজ কবির সানি (সাতকানিয়া), উপ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক তড়িৎ চৌধুরী(হাটহাজারী), উপ আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহাদুল হাসান আল মুরাদ (পটিয়া), উপ কর্মসূচী ও পরিকল্পনা সম্পাদক শাহাদাত হোসেন(খাগড়াছড়ি), সহ সম্পাদক দিদারুল আলম(বাঁশখালী)।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে গতবার চট্টগ্রাম থেকে সহ সভাপতি পদে স্থান পেয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আদিত্য নন্দী। তার গ্রামের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলা। এবারের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটিতে চট্টগ্রাম থেকে যারা স্থান পেয়েছেন তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আদিত্য নন্দী। তিনি জানান, শুধুমাত্র ছাত্র বৃত্তি বিষয়ক উপ সম্পাদক ফৌজিয়া ইসলাম তামান্না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। চট্টগ্রামের যারাই স্থান পেয়েছেন সবাই ছাত্র রাজনীতি করা ছেলে। কেউ এমনিতে স্থান পায়নি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে নতুন কমিটিতে সহ সভাপতি পদ পাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির এক প্রতিক্রিয়ায় আজাদীকে জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্দশকে ধারণ করে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গত কমিটিতে বিজ্ঞান বিষয়ক উপ সম্পাদক ছিলাম। এবারের কমিটি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। তিনি প্রত্যেকের বিগত দিনের কাজের মূল্যায়ন করে নতুন কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। আমাকে সহ সভাপতি পদে নির্বাচিত করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। সামনের দিন গুলোতেও দলের আর্দশের সাথে আপোষ করবোনা।
নতুন কমিটির অপর সহসভাপতি ডা. মনজুর মোর্শেদ অসীম সিলেট মেডিকেল কলেজের ছাত্র। গতকাল কমিটি ঘোষণার সাথে সাথে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতে কড়ি অনেক দিনের। সততা ও আর্দশকে বুকে ধারন করে দলের দুর্দিনেও আর্দশচ্যুত হইনি। আজকে তার প্রতিদান পেলাম। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অভিভাবক-দেশরত্ম জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার নিজ হাতেই প্রকৃত মেধাবী ও ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করেছেন। আজকে সত্যিই আমি আনন্দিত-আমাকে মূল্যায়ণ করার জন্য। এমন একটা দিনের অপেক্ষায় ছিলাম আমি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ৩১ জুলাই আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সাংগঠনিক অর্পিত ক্ষমতাবলে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন ৬১ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ১১ জন, সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন ১১ জন। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক সব সম্পাদক এবং সহ সম্পাদক ও উপ-সম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here