ইয়াবার পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার। শর্ত হলো টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামে এ ইয়াবা পৌঁছে দেয়া। পৌঁছে দিতে পারলেই পাবেন তিন লাখ টাকা। টাকার প্রলোভনে এ অনৈতিক কাজ করতে রাজি হয় তিন যুবক। তাদের একজন কৃষক ও অন্য দুইজন শিক্ষার্থী। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হলো না পুলিশের তৎপরতায়। পুলিশ প্রাপক কিংবা প্রেরকের কোনো হদিস না পেলেও ইয়াবা, দুইটি মোটরসাইকেল ও পাঁচটি মোবাইলসহ আটক করে সেই তিনজনকে, যারা কবুতর চালানের মতো এ কাজ নিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর হালিশহরে জেলা পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আনোয়ারা থানা ও পটিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে এসব ইয়াবার চালান উদ্ধার করা হয় ও তিনজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি মোটরসাইকেল ও পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
আটক তিনজন হলো- কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন দমদমিয়া হ্নীলা এলাকার নুরুল হকের ছেলে মাহমুদুল হক (২৩), সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল এলাকার সালেহ আহমদের ছেলে মো. ইব্রাহিম (২৬) ও একই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে জাহেদ হোসাইন (২৫)।
তিনি আরও জানান, তারা টেকনাফ থেকে এসব ইয়াবার চালান চট্টগ্রাম নিয়ে আসছিলেন। চট্টগ্রামে এ ইয়াবার চালান পৌঁছে দিলে তারা তিন লাখ টাকা পেতো বলে আমাদের জানিয়েছেন। তারা কার কাছে এসব চালান পৌঁছানোর কথা ছিল তা খুঁজে বের করা হবে।
উল্লেখ্য, আটক তিন জনের মধ্যে মাহমুদুল হক বিবিএ ও জাহেদ হোসাইন উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী এবং ইব্রাহিম কৃষক। তারা বহনকারী হিসেবে ইয়াবা নিয়ে আসছিলেন চট্টগ্রামে।