দেশে চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরানে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে ১ হাজার ৫৪১ জনের শরীরে।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলার পর বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ২৯২ জন।
এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৪৪ জনের। আর নতুন আরও ৩৪৬ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৯২৫ জন।
চব্বিশ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯.২২ শতাংশ। দেশে শনাক্তের বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০.৭০ শতাংশ; মৃত্যু হার ১.৪২ শতাংশ।
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে বুধবার দুপুরে এসব হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
সবশেষ মৃত্যুবরণ করা ২২ জনে পুরুষ ২০ জন, নারী দুজন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১০ জন (ঢাকা শহরের পাঁচজন), চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন এবং সিলেট বিভাগের দুজন। হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের; একজনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।
বয়স বিবেচনায় ০-১০ বছরের মধ্যে একজন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে দুজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে সাতজন এবং ৭১-৮০ বছরের মধ্যে একজন।
বুলেটিনে বলা হয়, দেশের ৪৮টি ল্যাবে চব্বিশ ঘণ্টায় মোট ৭ হাজার ৮৪৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, আগের দিনের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ হাজার ১৫টি নমুনা।
চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছিল ২৮১ জনকে; ছাড় পেয়েছেন ৫৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪ হাজার ৯৯৪ জন।
গত একদিনে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৭৮৯ জনকে; ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৮২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৬ হাজার ৬৯৬ জন।