
অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে ফাঁকা জায়গায় বোমা ফেলে ভারতীয় বিমানগুলো পালিয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
তবে ভারতের দাবি, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে চালানো বিমান হামলায় জইশ-ই-মুহাম্মদের ‘বহু সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে।
পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তী বালাকোটে সোমবার দিবাগত রাতে এ অভিযান চালায় ভারত।
পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর টুইটার বার্তায় বলেন, “ভারতীয় বিমানবাহিনী আন্তর্জাতিক আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। দ্রুত পালিয়ে বাঁচার জন্য বালাকোটের কাছে ভারতীয় বিমান ফাঁকা জায়গায় বোমা ফেলে পালিয়ে যায়।”
আইএসপিআরের এই ডিরেক্টর জেনারেল জানান, পাক বিমানবাহিনী দ্রুত ও কার্যকরী ব্যবস্থায় ধাওয়া খেয়ে ভারতীয় বিমান পিছু হটে। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহত হয়নি।
আলজাজিরা জানায়, মঙ্গলবার ভোরে পাক-ভারত সীমানা নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) নিকটস্থ এলাকায় বোমা হামলা চালায় বলে দাবি করে ভারত।
পাকিস্তানও এ অভিযানের কথা স্বীকার করলেও দাবি করে যে, এতে কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বরং পাক বিমান বাহিনীর পাল্টা জবাবে বোমা ফেলে পালিয়ে যায় ভারতীয় বিমান।
তবে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব ভিকে গোখলে দাবি করেন, অভিযানে বালাকোটের ঘাঁটিতে শীর্ষ জইশ কমান্ডার, প্রশিক্ষকসহ বিপুলসংখ্যক প্রশিক্ষিত ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তবে এতে বেসামরিক লোকের কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় একটি বহরে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা চালালে ৪৯ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স-সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন।
কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ ভিডিও ও ছবি শেয়ার করে ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। পাকিস্তানের সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতায় এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে ভারত। পাকিস্তান তা নাকচ করে দিলেও দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়।
