মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক গৃহবধূর মাথার চুল বঁটি দিয়ে কেটে দেয়ার ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সিরাজগঞ্জের ডিসি, এসপি ও উল্লাপাড়া থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারকে বিষয়টি জেনে আদালতকে অবহিত করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এ সংক্রান্ত পত্রিকার প্রতিবেদন নজরে আনেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
মাছ কাটা বঁটি দিয়ে গৃহবধূর মাথার চুল কাটার ঘটনায় গত ৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
খবরে বলা হয়, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ২ সন্তানের জননীর মাথার চুল বঁটি দিয়ে কেটে দিয়েছে এক আওয়ামী লীগ নেতা।
ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়ি উধুনিয়া ইউনিয়নের গজাইল গ্রামে। অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ। ঘটনার সময় তার সঙ্গে ৪ সহযোগী ছিল বলে জানা গেছে।’
২৫ নভেম্বর রাতে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ২ ডিসেম্বর উল্লাপাড়া মডেল থানায় আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ৪ সহযোগীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, গজাইল গ্রামের মুনসুর (৩৮), আব্দুস সালাম (৪৫), নাসির উদ্দিন (৪০) ও শহিদুল ইসলাম (৩২)।
#সূত্র যুগান্তর