নিজস্ব প্রতিনিধি
মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ সামিনা আক্তার (১৯) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত সামিনা আক্তার উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের গেড়ামারা গ্রামের মো. ইলিয়াসের মেয়ে। সামিনা করেরহাটের গনিয়াতুল উলুম হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসার আলিম ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলো। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০ টায় করেরহাট ইউনিয়নের গেড়ামারা গ্রামের মো. ইলিয়াসের বাড়ি থেকে সামিনার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত সামিনার মা আনোয়ারা বেগমের দাবি, সামিনাকে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাতে ধর্ষনের পর হত্যা করে তার মরদেহ তাদের বাড়ির পাশ্ববর্তী পাহাড়ের উপরে অবস্থিত একটি টাওয়ারের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহত সামিনার মা আনোয়ারা বেগম বলেন, আমার মেয়ে সামিনা আক্তার মঙ্গলবার রাতে আমার সাথেই শুয়েছিলো। রাত সাড়ে বারোটার সময় সে আমাকে জানিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের সামনের একটি টয়লেটে যায়। টয়লেট থেকে যথাসময়ে সামিনা ফিরে না আসায় আমি ঘর থেকে বের হয়ে তাকে বাড়ির কোথাও না পেয়ে বিষয়টি তার বাবাকে জানাই। সামিনার বাবা এসময় বাবা এসময় স্থানীয় একটি পোল্ট্রি ফার্মে কর্মরত ছিলো। খবর পেয়ে সামিনার বাবা বাড়ি এসে সামিনাকে বাড়ির আশেপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাতে পায়নি। বুধবার সকালে সামিনার বাবা মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে আমাদের বাড়ির পূর্ব পাশের পাহাড়ের উপর একটি টাওয়ারের সাথে সামিনার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। সামিনার মা আনোয়ারা বেগম এসময় আরো বলেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। সামিনাকে কেও ধর্ষনের পর হত্যা করে টাওয়ারের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। সামিনার শরীরের অনেক স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তিনি আরো বলেন, আমার বড় মেয়ে নাসিমার দেবর শরিফ ইসলাম এই হত্যার সাথে জড়িত রয়েছে বলে আমি মনে করি।
এই ব্যাপারে জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, করেরহাট ইউনিয়নের গেড়ামারা গ্রামে একটি আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এক তরুনীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। এই ব্যাপারে জোরারগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। ওই তরুণীর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পেলে নিহতের মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে।
করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করেন।