নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪ হাজার বিদ্যুৎ কর্মী অনির্দিষ্টকালের কালের জন্য একযোগে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে। তাদের দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে লাইনক্রু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত শ্রমিকরা।
জানাগেছে, পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের সারা দেশে ৮০ টি পল্লী বিদ্যুত সমিতির প্রায় ৪ হাজার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত লাইনক্রু ১৫ দপা দাবিতে এ কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড আর ই বি ভবনের সামনে চাকুরী স্থায়ী করনের দাবিতে তারা অবস্থান কর্মসূচী ও মানববন্ধন করেন । পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইন ক্রু লেভেল ১ এর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সারা বাংলাদেশের ৮০ টি সমিতিতে গত ৪ বছরে এই নিয়ে তিনবার লাইন ক্রু লেভেল ১পদে চুক্তিভিত্তিক ভাবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। যেখানে একই পদে একই নিয়োগ পদ্ধতিতে একই কাজে নিয়মিত লাইন ম্যান নিয়োগ দিয়েছিলো আর ই বি। নিয়মিত নিয়োগ আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মধ্যে সুযোগ সুবিধা আকাশ পাতাল পার্থক্য। এই বৈষম্য দুর করে আমাদের নিয়মিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সাথে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। কিছু দিন পূর্বে জরুরি ভাবে নিয়মিত লাইন ক্রু নিয়োগের কথা বলে পুনরায় তৃতীয় বারের মতো এই বৈষম্যমূলক নিয়োগ প্রদান করে আর ই বি। বর্তমানে দুই দফা নিয়োগে আমরা প্রায় ৪ হাজার নিরর্বিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ কর্মী সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নিয়মিত লাইনম্যানদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এমত্বাবস্থায় চুক্তি সরিয়ে নিয়মিত করার লক্ষ্যে সারা বাংলাদেশের ৮০টি সমিতির সব ক্রু গণ কর্ম বিরতি ঘোষণা করে স্ব স্ব সমিতিতে স্বারকলিপি প্রদান কর্ম বিরতি পালন করছি। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি পুরনে জন্য কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাই।
আন্দোলন বিষয়ে কর্মীদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন,আমাদের পথচলা, ১দিনের নয়।আমরা ৪টি বছর ধরে অমানবিক বৈষম্যের শিকার হয়েছি। বারবার চিঠি প্রেরণ করে উর্ধবতন কর্মকর্তার মাধ্যমে বাপবিবো (বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ড) যোগাযোগ করেছি। কোন রকম সদুত্তর না পাওয়ায়,হতাশা নিয়েই দিনের পর দিন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি নিয়ে একের পর এক সহযোদ্ধা দের হারিয়েছি। নানান ভাবে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রতিনিয়ত না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার সংখ্যাটা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে আমাদের। একই পদে একই কাজ করে পাহাড় বৈষম্য ৪ হাজার শ্রমিকের প্রতি। বাপবিবো’র চেয়ারম্যানকে ৮০টি শাখা পবিস থেকে একযোগে চিঠি প্রেরণ করেছি। বিদ্যুৎ, খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সহ বিদ্যুৎ সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে অনুলিপি পাঠিয়েছি। চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি। পুনরায় সকল উপজেলার জিএম জেনারেল ম্যানেজার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি। দায়িত্বশীলদের কোন উদ্যোগ না দেখে ১২ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ১৩ আগস্ট আরইবি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধনের ঘোষনা করেছি। পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।