ভারতীয় বোলারদের ঘাম ঝরিয়ে ছাড়ছিলেন নিজাকাত খান ও অংশুমান রাথ। ১৭৪ রানের জুটি গড়ে ভারতের বুকে কাঁপন ধরিয়েছিল এই ওপেনিং জুটি। এতে ইতিহাস রচনার স্বপ্ন দেখছিল এই দলটি। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের ব্যাটে সেই সুরটা তুলতে পারলেন না। যার ফলে স্বপ্ন ধূলিসাৎ হলো তাদের। জিতে গেল ভারত।
হঠাৎই ছন্দপতন। কুলদ্বীপ যাদবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফেরেন রাথ। ফেরার আগে ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৯৭ বলে ৪ চারে ৭২ রানের কাঁপন ধরানো ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন হংকং অধিনায়ক।
সঙ্গী হারিয়ে স্থায়ী হতে পারেননি নিজাকাতও। খলিল আহমেদের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান এ ওপেনার। ১১৫ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৯২ রান করেন তিনি।
দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন নিজাকাত ও রাথ। তবে রেশটা ধরে রাখতে পারেননি ক্রিস্টোফার কার্টার ও বাবর হায়াত। মাত্র ৩ রান করে অভিষিক্ত খলিলের শিকার বনে ফেরেন কার্টার। খানিক বাদেই তার পথ অনুসরণ করেন বাবর। ব্যক্তিগত ১৮ রান করে যুজবেন্দ্র চাহালের চতুর ডেলিভেরির শিকার হন তিনি। ফলে খেলায় ফেরে ভারত।
এতে চাপে পড়ে হংকং। সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। দলীয় ২২৭ রানে চাহালের গুগলির শিকার হয়ে ফেরেন কিনচিত শাহ। স্কোর বোর্ডে আর ১ রান যোগ হতেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন আইজাজ খান। শিকারী সেই চাহালই।
দলের এ চরম বিপর্যয়ের মধ্যে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন স্কট ম্যাকেকনি। চায়নাম্যান কুলদ্বীপের স্পিন ভেলকির ফাঁদে পড়ে ধোনির স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন তিনি। একটু পরই তরুণ তুর্কি খলিলের স্লো ডেলিভেরিতে তার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এহসান খান।
এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান করে ভারত। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন শিখর ধাওয়ান (১২৭)। এটি তার ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি। ১২০ বলে ১৫ চার ও ২ ছক্কায় এ ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। এর মাঝে হাফসেঞ্চুরি করেন আম্বাতি রাইডু (৬০)।
প্রথমদিকে ভালোই রান ছিল রোহিত বাহিনীর। এক পর্যায়ে ২ উইকেটেই ২৪০ রান করে ফেলেন তারা। তবে ধাওয়ান ফেরার পরই মড়ক লাগে ভারতীয় শিবিরে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ধোনি তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত কার্তিকের ৩৩ রান ও কেদার যাদবের ২৮ রানের সুবাদে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান তোলে ভারত।
হংকংয়ের হয়ে কিনচিত শাহ নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট শিকার করেন এহসান খান। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে ভরেন এহসান নেওয়াজ ও আইজাজ খান।