পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দশ দিবসের গুরুত্ব ও আমল ; জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিবস সর্বশ্রেষ্ঠ দিবস

433

 

মাহবুবুল আলম ছিদ্দিকী>>>

” বৈচিত্র্য বারাকাতে পরিপূর্ণ জিলহজ মাসের প্রথম দশকের গুরুত্ব ফযিলত ও আমল ” শীর্ষক আমার লেখা একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ বিগত ১৫/০৭/২০২০ ইং তারিখ আমার ফেসবুকের পাতায় পোস্ট করা হয়। প্রয়োজনে তা দেখে নেয়া যেতে পারে।

পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দশ দিবসের গুরুত্ব ও আমল ”
(যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিবস সর্বশ্রেষ্ঠ দিবস)

ইসলামে তিনটি দশক খুবই বরকতময় ও তাৎপর্যপূর্ণ।

১• মুহররম মাসের প্রথম দশক।
২• রমযান মাসের শেষ দশক।
৩• যিলহজ মাসের প্রথম দশক।

আমাদের আজকের আলোচনা
জিলহজের প্রথম দশকের গুরুত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রসঙ্গে।

যিলহজের প্রথম দশ দিন হলো পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দিন । এ দশ দিনের রয়েছে বিষ্ময়কর ফযিলত, আমল ও দোয়া।
আল্লাহর তাআলার বিধানানুসারে যে চারটি মাস পবিত্র ও সম্মানিত, তার
একটি হল যিলহজ মাস।

এ শ্রেষ্ঠ দশ দিনের বিশেষ আমলঃ
—————————————–
এক • প্রথম নয় দিনে নফল রোযা ও রাতে ইবাদত করা। তাসবীহ্, তাহলীল ও যিকির আযকার এবং দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে অতিবাহিত করা।
দুই • হাত পায়ের নখ, চুল ইত্যাদি কাটবে না।
তিন • যারা এ বছর হজ পালনে মক্কা শরীফে অবস্থান করছেন না, তাদের জন্য যিলহজ মাসের নয় তারিখ বিশেষ ভাবে রোযা রাখা সুন্নাত।
চার • তাকবিরে তাশরীক বলা নবম তারিখের ফযর থেকে তের তারিখের আসর পর্যন্ত।
পাঁচ • ঈদুল আযহার রাতে বেশি বেশি ইবাদত করা উত্তম।
ছয় • ঈদের দিনের বড় আমল হল, ঈদের নামায শেষে কুরবানী করা। ঈদের দিনে কুরবানী দেয়া সবচে উত্তম। এতে সর্ব সাধারণের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করা হয়।
যে কোন কারণে ( করোনা, কুরবানির পশু সংগ্রহ করতে না পারা অথবা লোকজনের অভাব যেমন কসাই/ গোশত কাটার লোক সংগ্রহে অপারগতায় ) জিলহজের ১০ তারিখ কুরবানী দিতে অক্ষম হলে ১১ ও ১২ এ দু দিনেও কুরবানী দেয়ার সুযোগ রয়েছে।

আরাফাত দিবসের রোযার ফযিলত ;
——————————————–
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস এর রেওয়ায়তে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ সঃ কে আরাফাতের রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি আল্লাহর কাছে আশা করছি যে তিনি এক বছরের আগে পরের গোনাহ মাফ করে দিবেন। অর্থাৎ দু বছরের গোনাহ মাফ করে দিবেন। বুখারী

৮ ও ৯ জিলহজের রোযা ;
———————————-
কেউ জিলহজ মাসে ১ হতে ৯ তারিখ পর্যন্ত রোযা রাখে ইহা তার জন্য সবচেয়ে উত্তম। তবে কেউ টানা ৯ দিন রোযা রাখতে না পারলে অন্তত ৮ ও ৯ এ’ দু’ দিন রোযা পালন করার চেষ্টা করবে।কেন দুই দিন রোযা রাখার কথা বললাম, তা প্রশ্ন না করাই ভালো।
অন্য ক্ষেত্রে হাদিস শরীফে রয়েছে, বিশেষ কোন একদিন রোযা পালন না করে তার আগে ও পরে আরো একটি রোযা রাখতে সাধারণত মহানবী সঃ সাহাবায়ে কেরামকে উৎসাহিত করতেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে আমল করার তাওফিক দান করুন আমীন।

লেখকঃমাহবুবুল আলম ছিদ্দিকী, উপাধ্যক্ষ।
দারুল উলুম কামিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here