
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ইশতেহার ঘোষণা করছে। ইশতেহারে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে দলটি।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে লেকসোর হোটেলে সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে ইশতেহার পাঠ করছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ইশতেহারে বলা হয়েছে, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে ভবিষ্যৎমুখী এক নতুন ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার করার জন্য নতুন এক সামাজিক চুক্তিতে পৌছাতে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করা হবে। এই কমিশনের সদস্য থাকবেন সংসদে সরকারি দলের নেতা, বিরোধী দলের নেতা এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় জাতীয় ব্যক্তিত্ব।
আরও বলা হয়েছে, ব্যক্তির বিশ্বাস-অবিশ্বাস এবং দলীয় আনুগত্যকে বিবেচনায় না নিয়ে কেমলমাত্র সততা, দক্ষতা, মেধা, যোগ্যতা, দেশপ্রেম ও বিচার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে রাষ্ট্রের প্রশাসনযন্ত্র, পুলিশ এবং প্রতিষ্ঠান সমূহের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হবে।
ইশতেহারে যা রয়েছে-
গণতন্ত্র ও আইনের শাসন
সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে।
একাধারে পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান করা হবে।
মন্ত্রীসভাসহ প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা হবে
বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ দেয়া হবে
মত প্রকাশের স্বাধীনতা
মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।
বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ বাতিল করা হবে
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের যুক্তিসংগত সমালোচনার অবাধ অধিকার থাকবে
শিক্ষা ও কর্মসংস্থান
শিক্ষাখাতে জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হবে
প্রথম তিন বছরে দুর্নীতি মুক্ত ব্যবস্থায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে ২ লাখ মানুষকে চাকরি দেয়া হবে
তরুণ দম্পতি ও উদ্যোক্তাদের সাবলম্বী হওয়ার জন্য ২০ বছর মেয়াদী ঋণ চালু করা হবে
আগামী ৫ বছরে ১ কোটি নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে
এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। এদের যৌক্তিক অর্থনৈতিক উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে
