১১ নভেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে দেশের সবচেয়ে মেগা ইভেন্ট ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এর নামকরণ হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’। ব্যাতিকধর্মী এই বিশেষ আসরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে তার জন্য বিশেষভাবে নির্মিত ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বিপিএল উদ্বোধনের ঘোষণা দেন তিনি।
হোম অব ক্রিকেটে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পুরো স্টেডিয়ামই ছিল নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। রবিবার সকাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), পুলিশ, র্যাব পুরো স্টেডিয়ামে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বলয় তৈরি করে। প্রধানমন্ত্রী স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি উদ্বোধনের ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিপিএলে যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আপনারা সবাই এই টুর্নামেন্ট উপভোগ করবেন। আমি এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।’ এরপর পুরো শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আকাশে আতশবাজির ঝলকানি ছিল দেখার মতো।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনের আগেই অবশ্য কনসার্ট দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে এটি শুরুর কথা থাকলেও বাংলাদেশি শিল্পী মহিদুল ইসলাম খান মঞ্চে ওঠেন সন্ধ্যা ৬টায়। বিসিবির তত্ত্বাবধানে এবার বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা রাখা হয়েছে।
পুরো স্টেডিয়ামকে রাঙানো হয়েছে বর্ণিলভাবে। প্রধানমন্ত্রীর বড় একটা ছবি শোভা পাচ্ছে পূর্ব গ্যালারিতে। সব মিলিয়ে জমকালো এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশেষ এই বিপিএল উদ্বোধন হলো।
বিশেষ এই বিপিএলে সাতটি দল অংশ নিচ্ছে। দলগুলো হচ্ছে- ঢাকা প্লাটুন, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, খুলনা টাইগার্স, সিলেট থান্ডার, রংপুর রেঞ্জার্স, রাজশাহী রয়্যালস ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মাধ্যমে এবার দলগুলো পরিচালিত হচ্ছে না। বিসিবি নিজের তত্ত্বাবধানে দলগুলো পরিচালনা করছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর মিরপুরে চট্টগ্রাম ও সিলেট এবং কুমিল্লা ও রংপুর ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে বিপিএলের সপ্তম আসরের লড়াই।