বাধার প্রতিবাদে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে প্রতিবাদ সভা করে মহানগর বিএনপি। এতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে বিএনপি’র মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারা দেশে করোনাকাল চলছে। গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত ফের বাড়ছে। সেই প্রেক্ষিতে মহানগর বিএনপি’র ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মাস্ক ও ওষুধসহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেই। যা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
ডা. শাহাদাত বলেন, শনিবার চকবাজার ওয়ার্ডের উদ্যোগে মাস্ক ও ওষুধ বিতরণের অনুষ্ঠান সকাল দশটায় শুরু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু অনুষ্ঠানের এক ঘণ্টা আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান না করার জন্য বারণ করে এবং পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে মাস্ক ও ওষুধ বিতরণ কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়। এইভাবে একটি দেশ স্বৈরাচারী কায়দায় চলতে পারে না। দেশের প্রতিটি মানুষ এই সরকারের হাতে জিম্মি।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকার জনকল্যাণমূলক কোনো কাজের ধারে কাছেও নেই। উন্নয়নের নামে দুর্নীতি ও লুটপাট নিয়ে ব্যস্ত। বিএনপি জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি নিলেই তাদের চুলকানি শুরু হয়। সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই, প্রশাসনের উপর ভর করেই দেশ চালাচ্ছে। প্রশাসননির্ভর এই ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘ এক যুগের অধিক দেশের জনগণের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।
মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বিধায় জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। করোনা মোকাবিলায় সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি বিশ্বের বুকে দেশের মান চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে আবারো করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতকালে বাংলাদেশেও সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। তাই সামাজিক অবস্থান থেকে আমরা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছি। কিন্তু সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রশাসন আমাদের সে কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি।
সভায় বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন ঢালী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সারোয়ার আলম, অ্যাডভোকেট পারভীন চৌধুরী, বেগম লুৎফুন্নেসা প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মনজুর আলম।