বিধি ভেঙে যশোরে নৌকার প্রার্থীর শোডাউন, ধানের শীষের প্রচার মাইক ভাঙচুর

205

নিজস্ব প্রতিবেদক :

 

একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর প্রথম দিনেই আচরণবিধি ভঙ্গ করলেন যশোর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ। সোমবার প্রতীক বরাদ্দের প্রথম দিনেই তিনি ঢাক-ঢোল, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নৌকা প্রতীকের পক্ষে বিশাল শোডাউন দেন। এসময় নৌকার পক্ষে শোডাউনের সময় গোটা শহরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। আতঙ্ক দেখা দেয় সাধারণ মানুষের মাঝে। মিছিল থেকে ফেরার পথে শহরের দড়াটাটানা মোড় এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে একটি প্রচার গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আওয়ামী লীগ কর্মীরা।

জেলা রিটার্নিং কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ছিল প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের নির্ধারিত দিন। সকালে প্রতীক বরাদ্দের সময় জেলা রিটার্নিং ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আওয়াল উপস্থিত প্রার্থী ও তাদের পক্ষের প্রতিনিধিদের নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধি মেনে চলার আহবান জানান। রিটার্নিং কর্মকর্তার এই নির্দেশনার মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই যশোর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছেন।

তার নেতৃত্বেই সোমবার বিকেলে নৌকার পক্ষে বিশাল মিছিল হয়েছে। এসময় নৌকা প্রতীকের পক্ষে ঢাক-ঢোল, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে মিছিল করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল তিনটার পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নৌকা প্রতীকের পক্ষে খন্ড খন্ড মিছিল বের করে। এসময় প্রতিটি মিছিলে ব্যানার, ফেস্টুন ও সামনে মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রা ছিলো। খন্ড খন্ড এসব মিছিল এসে জড়ো হয় টাউন ময়দানে।

পরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও যশোর পৌরসভার মেয়র জেলা যুবলীগের সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল শহরে প্রবেশ করে। মিছিল থেকে নৌকার পক্ষে স্লোগান ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তাকের রহমানের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা। নৌকার পক্ষে এ বিশাল মিছিলের কারণে গোটা শহরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। নির্বাচনী বিধি ভেঙ্গে প্রথম দিনেই নৌকার পক্ষে এ শোডাউনের ঘটনায় বিষ্মিত হন সাধারণ মানুষ।
এদিকে মিছিলের সময় দড়াটানা মোড় এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে একটি প্রচার মাইক ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এসময় পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বিষয়টি নিয়ে সন্ধ্যায় জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আওয়ালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ এখনো পর্যন্ত কেউই আমার কাছে করেননি। তবে আমরা আশা করছি সকলেই একটি সুষ্ট ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে আচরণবিধি মেনে চলবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here