ব্যানারে নাম না থাকায় কাউন্সিলরকে প্রকাশ্যে থাপড়ালেন হাজী সেলিম

410

 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিককে প্রকাশ্যে থাপড় মেরেছেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিম। আজ শনিবার পুরান ঢাকার লালবাগের শহীদ হাজী আবদুল আলিম খেলার মাঠ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে।

এদিকে সেলিমের হাতে মার খেয়ে কাউন্সিলর মানিককে অনুষ্ঠানস্থলে কাঁদতে দেখা যায়।

জানা গেছে, শহীদ হাজী আবদুল আলীম মাঠের সংস্কারকাজ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। শনিবার ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা ছিল। সে হিসেবে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। মাঠের ভেতরে বড় মঞ্চ করা হয়। পেছনে এলইডি স্ক্রিনসহ প্রজেক্টরের ব্যবস্থা রাখা হয়।

বিকেল ৩টায় এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম মাঠের ভেতরে প্রবেশ করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ডিজিটাল ব্যানারে তার ছবি ও নাম না দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তিনি নিজেই মঞ্চে উঠে মাইক ফেলে দেন। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

পরে অনুষ্ঠানে আসা ব্যক্তিরা তার এই আচরণের কারণ জানতে চাইলে হাজী সেলিমের অনুসারীরা জানান, এই এলাকার এমপি হিসেবে হাজী সেলিমকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি। এ অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এ সময় যথাযথ সম্মান না দেওয়ার পেছনে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিককে দায়ী করেন হাজী সেলিমের অনুসারীরা। একপর্যায়ে হাজী সেলিম মানিকের দিকে তেড়ে এসে তাকে থাপড়াতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলে ব্যাপক হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

মারধরের বিষয়ে মানিক বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। আমি কালকে ওনাকে কার্ড দিয়েছি, উনি আসবে। সহযোগিতা করছেন। হঠাৎ করে সব ভাইঙ্গা ফেলছে, আমারে মারতে আসছে। সবাই, ওর লোকজন আমাকে মারতেছে। আমি বলে নাম দেইনাই। তার নাম এখানে স্টেজে আছে।’

মানিক আরও বলেন, ‘এটাতো সিটি করপোরেশনের প্রজেক্ট। ওইখানে এমপি সাহেবের নাম না থাকতে পারে প্রটোকল অনুযায়ী। তো আমার কী অন্যায়, আমি তো কোনো অন্যায় করিনি।’

পরে বিকেলে ৩টা থেকে শুরু হওয়া এই পরিস্থিতি বিকেল ৪টায় মেয়র সাঈদ খোকন এলে শান্ত হয়। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মাঠের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু করেন।

‘জল সবুজে ঢাকা’ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন লালবাগের শহীদ হাজী আবদুল আলীম খেলার মাঠের সংস্কারকাজ করেছে। প্রায় ৭৫ কাঠা আয়তনের এই মাঠ সংস্কারে আট কোটি ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানা গেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here