মিঠানালার করিমের স্ত্রী সন্তানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

199

 

মিরসরাই প্রতিনিধি
মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের রহমতাবাদ গ্রামের বদরুল মেস্ত্রী বাড়িতে স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে আব্দুল করিম বাবলুর ছোট্ট সংসার।

পেশায় একজন কাঠ মেস্ত্রী হলেও দারিদ্রতা কষ্ট গুলোকে ম্লান করতে বাড়তি আয়ের জন্য কখনো বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে রান্না বান্নার কাজ করেন আবার কখনো রিক্সা চালান।

ছোট্ট এই সংসারটি নিয়ে ভালোবাসার কোনো কমতি ছিলো না আব্দুল করিমের।যেদিন প্রথম বাবা হয়েছিলেন সেদিন ভিতর কষ্ট গুলো যেন আচ্ছাদিত হয়েছিলো।

২০১৪ সালে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন আব্দুল করিম ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগমের ঘর আলোকিত করে এসেছিলো একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান।
খু্ব শখ করে আদরের সন্তান কে কোলে জড়িয়ে বিবি উম্মে সালমা নাম ও রেখেছিল আব্দুল করিম।

কিন্ত করিমের আকাশে বিষাদের সব মেঘ যেন একসাথে ঘনঘটা করে চারদিকে অন্ধকার করে দিয়েছে। মেয়ের বয়স তিন বছর পেরুতেই এক অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনায় মেয়েটি তার শ্রবণ শক্তি এবং বাক শক্তি হারায়। সে আর কানে শুনতে পায় না এবং কথা ও বলতে পারে।

বাবা হলেও বাবা ডাকটি তেমন একটা শুনা হয় হয়নি করিমের। মেয়ে সালমাকে নিয়ে চকবাজার চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তিনি জানিয়েছেন চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী এবং প্রয়োজন প্রচুর অর্থ।

এরই মাঝে ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখ করিম-রাবেয়া দম্পতির কোলে এসেছিলো আরো একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান।

কিন্তু অভাবের সংসারে অভাব তো লেগেই থাকে, প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার এবং চিকিৎসার অভাবে একমাত্র পুত্র সন্তান আব্দুল আজিজের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।বয়স তিন বছর হলেও সে এখনো দাঁড়াতে পারে না এবং কথা ও বলতে পারে না।

মেয়ের মতো ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন আর অনেক অর্থ। মেয়ে আর ছেলের চিকিৎসার টাকা জোগাড়ে যখন করিমের চেষ্টার কমতি নেই।

কিন্তু বিষাদের ঘনঘটা তখন আরো বেড়েছে যখন স্ত্রী রাবেয়া আক্তারে এ্যাপেন্ডিসের ব্যাথা আরো প্রকট হয়।

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার অশিন বড়ুয়া জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি অপারেশন না করলে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হবে। আর অপারেশনের জন্য প্রয়োজন প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।

যেখানে ছোট্ট সংসারটিতে নুন আনতে পানতা ফুরায় সেখানে তিন জন মানুষের চিকিৎসার খরচই বা কী করে জোগাড় করবে করিম! স্ত্রী ও ২ সন্তান সুস্থ হয়ে আবার ও করিমে বুকে মাথা গুজবে এমন স্বপ্ন নিয়ে বিত্তবানদের সহযোগিতার খোঁজে করিম ছুটে চলছে এদিক ওদিক। প্রায় দিশেহারা তিনি।

সমাজের প্রত্যেকই মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকবে তিনটি প্রাণ। বেঁচে থাকবে একটি পরিবার। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকবে আব্দুল করিম, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন আপনিও।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ- বিকাশ পার্সোনাল 01862109309

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here