মিরসরাইয়ে আওয়ামীলীগের অন্তঃকোন্দলে হামলা-পাল্টা হামলায় ৮ নেতা-কর্মী আহত

312

মিরসরাই প্রতিনিধি
মিরসরাইয়ের মঘাদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের অন্তঃকোন্দলে হামলা-পাল্টা হামলায় গত ১০দিনে যুবলীগ ছাত্রলীগের অন্তত সাত কর্মী আহত হয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার (২৭ মার্চ) সাধুর বাজার এলাকায় নুরুন্নবী (৩২) নামে এক যুবলীগ কুপিয়ে জখম করা হয়। এর আগে গত ১৮ মার্চ থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে প্রতিপক্ষের হামলায় ৭ কর্মী আহত হয়েছে। ঘটনার জের ধরে মঘাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী বাড়িতে হামলা চালিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহতের ভাই সাখাওয়াত হোসেন রুবেল বলেন, আমার ভাই নুরুন্নবী সাধুর বাজার থেকে জমির আইল দিয়ে হেটে বাড়ি যাওয়ার পথে প্রতি পরে দশ থেকে বার জন রামদা ও দেশিয় ধারালো অস্ত্রনিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি কোপে নুরুন্নবীর মাথায় গুরুতর জখম হয়। এসময় আহতের চিৎকারে আশেপাশের লোক এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা স্থান ত্যাগ করে। উপস্থিত লোকজন গুরুতর আহত নুরুন্নবীকে উদ্ধার করে স্থানীয় মাতৃকা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার আবস্থা ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় তাকে চমেকে প্রেরণ করেছে। জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন এর মুল হোতা।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, নুরুন্নবীকে কে বা কারা মারছে আমি জানিনা। কিন্তু তারা আমার বাড়িঘর ভাংচুর করে এবং দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। এছাড়া ছাত্রলীগ নেতা সফর আলীর বাড়ি ঘরও ভাংচুর করে। উপজেলা আওয়ামীলীগের মানবসম্পাদক সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নির্দেশে গত ১৮ মার্চ রাতে ছাত্রলীগ কর্মী আরমানকে কুপিয়ে জখম করে। এরপর একে একে সমিতিরহাট এলাকায় ইমাম হোসেন বাদশা, বদিউল্লাহ পাড়ায় জামশেদ আলম, আবুতোরাব বাজারে আব্দুর রহিম, তিনঘোরিয়াটোলা এলাকায় জিসানের উপর হামলা করে। তারপরও আমি সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছি। কারণ আমি হামলা মামলার রাজীতিতে বিশ্বাস করি না। এসব হামলার ঘটনায় মিরসরাই থানায় দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এই বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম তার নির্দেশে হামলার বিষয়টি অস্বীকার বলেন, তারা মিথ্যাচার করছে, আমি নোংরা রাজনীতি করিনা। মূলত জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান ও মহিউদ্দিনের নির্দেশে হামলাগুলো হয়েছে। গত বুধবার আমার ব্যবহত গাড়িতেও হামলা করেছে।

এই বিষয়ে মঘাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফায়েল উল্ল্যা চৌধুরী নাজমুল বলেন, গত ১৮ মার্চ হামলার সূত্রপাত হয়েছে। আমি বিষয়টি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর ভাইকে অবহিত করেছি।

মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার নুরুন্নবীর উপর হামলায় নির্দেশ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন বলেন, আমি হামলার জন্য নির্দেশ দিয়েছি কেউ এমন প্রমাণ দিতে পারবেনা। আমি প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনা।

মিরসরাই থানা ওসি তদন্ত বিপুল চন্দ্র নাথ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আহত ব্যক্তিকে আমরা দেখেছি তার আবস্থা গুরুতর। ঘটনার স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজকের (শুক্রবার) ঘটনায় এখনো অভিযোগ দেয়নি। এর আগে হামলার দুটি অভিযোগ পেয়েছি। খুব শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here