মিরসরাই প্রতিনিধি
মিরসরাইয়ে এক ইউপি সদস্যের যোগসাজসে প্রবাসীর নির্মান সামগ্রী চুরির অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউপি সদস্য হাসান মো. মোরশেদ উপজেলার ধুম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টায় একটি মিনিট্রাকে ইট (নং- চট্টমেট্রো ন ১১১২২৬) বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে ট্রাকটিকে এলাকাবাসি আটকায়। এসময় এলাকাবাসির জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ট্রাক চালক আফসার জানায় ইউপি সদস্য হাসান মো. মোরশেদের নির্দেশে সে এই ইটগুলো নিয়ে যাচ্ছিলো।
জানা গেছে, ধুম ইউনিয়নের মধ্যম নাহেরপুর গ্রামের সুদান প্রবাসী সাদেক হোসেন নির্মান কাজের জন্য ৩০ হাজার ইট বালু রড সহ অন্যান্য নির্মান সামগ্রী এনে রেখেছিলেন। কিছুদিন ধরে চুরি হয়ে যাচ্ছিলো সেই নির্মান সামগ্রী। এক পর্যায়ে রাতের আধারে সমস্ত ইট, বালু ও রড নিয়ে চম্পট দেয় দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১ টায় একটি মিনিট্রাকে ইট (নং- চট্টমেট্রো ন ১১১২২৬) বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে ট্রাকটিকে আটকায়। এসময় এলাকাবাসির জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ট্রাক চালক আফছার জানায় ইউপি সদস্য হাসান মো. মোরশেদের নির্দেশে সে এই ইটগুলো নিয়ে যাচ্ছিলো।
চুরি হওয়া ইটের মালিক সুদান প্রবাসি সাদেক হোসেন বলেন, আমার বাড়িতে কাজ করার জন্য আমি ৩০ হাজার ইট, রড ও বালু এনে রেখেছিলাম। আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে কয়েকদিন ধরে ইউপি সদস্য হাসান মো. মোরসেদ এর নির্দেশে তার সহযোগিরা চুরি করে সেগুলো নিয়ে যাচ্ছিলি। গতকাল ইটবোঝাই একটি ট্রাক এলাকাবাসী ধরে ফেলে। ট্রাকের ড্রাইভার আফছার জিজ্ঞাসাবাদে জানায় ইউপি সদস্য মোরশেদের নির্দেশে সেগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। এর আগেও আমার বাড়ি থেকে নির্মান সামগ্রী চুরি হয়েছে যা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়েছে। এই ঘটনায় আমার ভাই বাদি হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা করবে।
জানা গেছে, ইট চুরি করতে গিয়ে জনগনের হাতে ধরা পড়ে সাঈদ নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোর্শেদের নেতৃত্বে ইট চুরি করার সময় সাঈদ ধরা পড়ে। সাঈদের বাড়ি বাংলা বাজার। । সাঈদ কে পাবলিক গনধোলাই দেয় এবং পরে তার মাথার চুল কেটে দেয়া হয়।
এবিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য হাসান মো. মোরশেদের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।
মিরসরাই ধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ইউপি সদস্য মোরশেদের বিষয়ে একটি অভিযোগের কথা লোক মুখে শুনেছি। অন্যায়কে প্রশ্চয় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। সে যেই হোক। ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করে জড়িত ইউপি সদস্য হাসান মো. মোরসেদ এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা এই ধরনের একটি ঘটনা শুনেছি। তবে কেউ এখনো থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি। এই ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
# সূত্র মিরসরাই খবর