মিরসরাই প্রতিনিধি
মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় বসতভবাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৩ আগস্ট) দিবগত রাতে করেরহাট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড চত্ত্বরুয়া গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেনের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় সশস্ত্র ডাকাতদল বাড়ির সকলকে হাত পা বেঁধে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে, মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্নালংকার ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সোমবার (২৪ আগস্ট) সকালে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া ও করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাড়ির মালিক মোশাররফ হোসেন বলেন, আনুমানিক রাত সোয়া তিনটার দিকে মুখোশধারী ৮-১০ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল দেওয়াল টপকে দ্বিতীয় তলায় উঠে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিককে হাত পা বেঁধে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে তাদের মোবাইল চিনিয়ে নেয়। তারপর নিচতলায় এসে আমার কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে আমি আর আমার স্ত্রী ছালেহা বেগম মনি ও মেয়েদেরকে হাত পা বেঁধে মোবাইল চিনিয়ে নেয়। একে একে আলমারি, সিন্ধুক ও ড্রয়ারের লক ভেঙে নির্মাণ কাজের জন্য লোন করা নগদ ৫ ল টাকা, আগের জমা ২ ল টাকা, আমার স্ত্রী ও মেয়েদের ৬ ভরি স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমার ভাড়াটিয়া গিয়াস উদ্দিনের কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা বেঁধে তাদের নগদ টাকা, স্বর্নলংকার ও মোবাইল চিনিয়ে নিয়ে বাহিরে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। ডাকাতদল মোবাইল, নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার সহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে বলে দাবী করেন তিনি।
এ ব্যাপারে করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দেওয়ার জন্য জোরারগঞ্জ থানা পুলিশকে অনুরোধ করেছি।
এ ব্যাপারে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, তদন্ত ওসি সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।