
মিরসরাই প্রতিনিধি
মিরসরাইয়ের রাতের খাবারের সাথে নেশার ঔষধ মিশিয়ে পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়েছে অজ্ঞান পার্টির সদস্য। বুধবার (১৫ মে) রাতে উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওর্য়াডের নূর হোসেন মাতবার বাড়ির কামাল হোসেন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এসময় ওই পরিবারের ৫ জন সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ে।
চোরের দল ২২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে বলে দাবী করেছেন ভুক্তভোগীরা। এসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই পরিবারের ৬জন। তাদের মধ্যে ৫জনকে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থরা হলেন রফিয়া খাতুন (৭৫), ফেরদৌসি বেগম (৪৫) শিহাব (১৫), জিয়া উদ্দিন (৫০), মোর্শেদা (৩৫) ও মেরি (২৮)। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।
ওই ঘরের মালিক কামাল উদ্দিন বলেন, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে আমার আম্মা আমাকে ডেকে বলে তাঁর গলায় ও কানে থাকা চেইন নিয়ে গেছে। এরপর আমি সহ দেখি আলমিরার দরজাও খোলা। সেখানে থাকা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেই। এরপর আমার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডাকলে সেও উঠে দেখে তাঁর গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণালংকার নেই এবং আলমিরাতে থাকা স্বর্ণালংকারও নিয়ে গেছে। এভাবে একে এক আমার দুই ছোট ভাইয়ের স্ত্রীদেরও গলায় কানে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। আমার ধারনা ভাতের মধ্যে কিছু চেতনানাশক মিশিয়ে দিয়েছে অথবা চোরের দলের কোন সদস্য সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকে দরমায় লুকিয়ে ছিলো। চুরি করার আগে সবাইকে স্পে দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। অসুস্থদের মধ্যে ৪ জনের জ্ঞান ফিরলেও দুইজন এখনো অজ্ঞান হয়ে আছেন।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল হক জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘরের দরজা জানালা সব অক্ষত কিন্তু চোরের দল কিভাবে ঘরের ভেতর ঢুকলো বুঝতে পারছিনা। তাছাড়া পরিবারের সদস্য ৬জন অসুস্থ হলে দুইজন কিভাবে সুস্থ থাকে। আমার মনে হচ্ছে ওই পরিবারের কেউ এমন কাজ করেছে। তারপরও ভুক্তভোগীরা থানায় কোন অভিযোগ দিলে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
