মিরসরাই প্রতিনিধি
মিরসরাইয়ে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বিকালে মিরসরাই থানা পুলিশের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক জিয়া উদ্দিনের সঞ্চালনায় ও থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের (দায়িত্বপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ইয়াছমিন আক্তার কাকলী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহম্মদ নিজামী, ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল হাসান টিপু, মিরসরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র এম শাহজাহান, মিরসরাই কমিউনিটি পুলিশিং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নাছির উদ্দিন, মিরসরাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ সরকার, সাবেক সভাপতি উত্তম কুমার শর্মা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই থানার ওসি তদন্ত বিপুল চন্দ্র দেবনাথ, মিঠানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম, ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা, মিরসরাই সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন, খৈয়াছরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল চৌধুরী, মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার, ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ, সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী, মিরসরাই পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর উদ্দিন, পুজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী রাজিব, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ হোসাইন ও যুগ্ম সম্পাদক জাফর ইকবাল,নিজামপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম আরিয়ান সহ মিরসরাই থানার সকল কর্মকর্তা, পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন মন্দির কমিটির প্রতিনিধি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় দূর্গাপূজাকে ঘিরে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মন্দির কমিটি সহ পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের অভিযোগ শোনেন।
এসময় অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল কবির বলেন, “কোনো মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এমন কাউকে আমরা এখানে প্রশ্রয় দিবোনা যেহেতু এটা সার্বজনীন পূজা। পূজা যদিও সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য তারপরও আমরা যারা অন্য ধর্মের আছি এদেশের মানুষ পূজাকে একত্রে আমরা উদযাপন করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, দূর্গাপূজায় আমরা নানা ভাবে অনেক টাকা খরচ করি, সেক্ষেত্রে আমি পূজা উদ্যাপন পরিষদের সকল নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ এই পূজা মন্ডপে সামান্য ২টি বা ৩টি সিসি ক্যামেরা ব্যবস্থা করা যেত তাহলে নিরাপত্তা অনেকটাই আমাদের হাতের মুঠোয় চলে আসতো। একটা সিসি ক্যামেরা সমান ৫০জন পুলিশ।