মিরসরাইয়ে নির্মানাধীন ব্রিজের বিকল্প সড়ক সংকুচিত করায় বর্ষায় কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশংকা

289

মিরসরাই প্রতিনিধি

মিরসরাইয়ে নির্মানাধীন ব্রিজের বিকল্প সড়ক সংকুচিত করায় আগামী বর্ষায় কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। উপজেলার বারইয়ারহাট-খাগড়াছড়ি সড়কের করেরহাট অংশে লক্ষীছড়া ছরার উপর নির্মানাধীন ব্রিজের বিকল্প সড়কটি সংকুচিত করার ফলে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ী পানির তোড়ে ভেসে যাবে মৎস্য প্রকল্প, পোল্ট্রি খামার, কৃষি জমির আবাদী ফসল। এতে করে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির আশংকা করছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, বারইয়ারহাট-খাগড়াছড়ি সড়কের করেরহাট অংশের লক্ষীছড়া ব্রিজটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে কয়েকবছর পূর্ব থেকে, তবুও জোড়াতালির মেরামতে যান চলাচল অব্যাহত ছিল। সম্প্রতি সড়ক ও জনপদ বিভাগ ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। লক্ষীছড়া ছরাটি দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর পূর্বে খনন করা হয়, ইতিপূর্বেও ছরাটি সংকুচিত হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচলে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছিল। এবার লক্ষীছড়া বিজ্রের কাজ চলার কারণে বিকল্প সড়কটি ছরার দুই পাশের কিছু অংশ ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে, তাতে করে আগামী বর্ষায় করেরহাট ইউনিয়নের সরকারতালুক, দক্ষিন অলিনগর, কাটাগাং, পশ্চিম জোয়ার গ্রাম পাহাড়ী ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। এসব গ্রামের সড়কগুলো, দক্ষিণ অলিনগর গ্রামের ১০ টিরও বেশি মুরগির শেড় এবং নির্মানাধীন ব্রিজের দেড়শ গজ পূর্বে অবস্থিত করেরহাট গণিয়াতুল উলুম মাদ্রাসা, শওকত আরা কমিউনিটি ক্লিনিকে পাহাড়ী ঢলের পানির প্রভাব পড়তে পারে। সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দারা লক্ষীছড়া ব্রিজের বিকল্প সড়কটি সংকুচিত না করার আবেদন জানিয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বরাবরে এলাকাবাসীর স্বাক্ষর সংবলিত একটি লিখিত অভিযোগ দেন।


স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুদ্দীন চৌধুরী মাসুদ জানান, লক্ষীছড়া ব্রিজের বিকল্প সড়কটি সংকুচিত করার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দক্ষিণ অলিনগর গ্রামের বাসিন্দারা। তাই ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরুর পূর্বে বিকল্প সড়কটি সম্প্রসারিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, আমি এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণের উদ্যোগ নেবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here