মিরসরাইয়ে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা প্রদর্শনী’র মাঠ দিবস পালিত

436

মিরসরাই প্রতিনিধি
জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে কমছে কৃষিজমি। অধিক ফলনের জন্য প্রয়োজন কৃষিজমিতে উন্নত প্রযক্তির ব্যবহার। এতে জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। সোমবার (১২ নভেম্বর) বিকালে মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের পূর্ব মলিয়াইশ এলাকায় উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হারুন অর রশিদ।
ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম-ফেজ এনএটিপি-২ এর আওতায় মিঠানালা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিরিন আক্তার তত্ত¡াবধানে মানসম্মত ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা প্রদর্শনী ও মাঠ দিবস পালিত হয়।
মিঠানালা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিহির কান্তি মজুমদারের সভাপতিত্বে ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিরিন আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে মিরসরাই উপজেলার উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা আবু তাহের, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী মো. নুরুল আলম, হোসেন আহাম্মেদ, মো. শামছুল আলম, আব্দুল কাদের, আজিজুর রহমান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উৎফল দেব, ওমর ফয়জুল হাসান এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহেদা শিরিন।
এসময় প্রধান অতিথি উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য বিষমুক্ত সবজি চাষ। কেনো না এটি একটি জৈব্য সার যা জমির উর্বরতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। গাছের পাতা, খড়, গোবর, লতা-পাতা, পঁচনশীল আবর্জনা ইত্যাদি খেয়ে কেঁচো মলত্যাগ করে। এবং এর সাথে কেঁচোর দেহ থেকে রসায়নিক পর্দাথ বের হয় কেঁচো কম্পোস্ট তৈরি হয়।
তিনি আরও বলেন, কেঁচো কম্পোস্ট স্যার তৈরি খরচ কম এবং কেঁচো কম্পোস্টের চাহিদা ও বাজার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যার মাধ্যমে আপনাদের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।
কৃষকরা মাঠ দিবস থেকে আহরিত জ্ঞান পরবর্তী কৃষি কাজে ব্যবহার করে যার ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। আর এভাবেই অতিরিক্ত উৎপাদন উপজেলার মোট উৎপাদন কে বৃদ্ধি করে। আর এখানেই মাঠ দিবস কার্যক্রমটির সফলতা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here