নিজস্ব প্রতিবেদক
মিরসরাইয়ে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে অবৈধভাবে দখল করে রাখা জায়গা পৈত্তিক সম্পদ ফিরে পেয়েছেন একটি পরিবার। সোমবার (১২ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিক দত্ত জায়গার পরিমাপ করে সীমানা দিয়ে কবলা সূত্রে মৃত নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ওয়ারশিদের বুঝিয়ে দেন।
জানা গেছে, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল ইসলামের পুত্র মরহুম নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মধ্যম মঘাদিয়া মৌজার বিএসদাগ নং-৫৫৯২৪, বিএসখতিয়ান ৩৮৩ দাগের ২২ শতক জমি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে অবৈধভাবে দখল করে আসছে মৃত নরুল ইসলামের মেয়ে হাসনা হেনা, আবুল বশরের পুত্র মফিজুল করিম জুয়েল ও মোহাম্মদ গোলামের পুত্র সাইফুল ইসলাম।
দীর্ঘ ২৭ বছর পর মামলা চালাতে গিয়ে পিতৃহারা হয়েছেন আবদুল হালিম বাবু, মেহেদী হাসান বাপ্পি ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি সর্বস্বান্ত হয়ে গেলেও নিজেদের জায়গা পেয়ে ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে উদযাপন করেন।
এ সময় মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন, মিরসরাই পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহির উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানাসহ এলাকার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
মৃত নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্ত্রী ফেরদৌসি খানম বলেন, দীর্ঘ ২৭ বছর যাবত আমার স্বামীর ২২ শতক জায়গা অবৈধভাবে দখল করে আসছে ৩ ব্যক্তি। এই জায়গার জন্য আমার স্বামী পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন। আমার সন্তানরা এই জায়গা উদ্ধার করতে গিয়ে অনেক মামলা-হামলার স্বীকার হয়েছেন। আমি সু-বিচার পেয়েছি এই জন্য প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আর যেন আমার সন্তানদের মামলা-হামলা দিয়ে কেউ যেন হয়রানি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন আপনারা।
মৃত নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার পুত্র মাহফুজুর রহমান রাব্বি বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে এই মামলা শুরু। মামলা শুরু হওয়ার পর থেকে যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালত রায় দে, তারপর এটা আপিল হয়ে ৬ষ্ঠ আদালতে যায়, সেখানেও নিষ্পত্তি হয়। তারপর হাইকোর্টে যায়, হাইকোর্ট থেকেও নিষ্পত্তি হয়। হাইকোর্ট থেকে বিজ্ঞ আপিলে সুপ্রিম কোর্টে যায় সেখানেও আমার বাবার পক্ষে নিষ্পত্তি হয়। এরপর তারা আপিল করে রিভিশন পর্যন্ত।
তিনি আরও বলেন, ৭ জন বিচারপতি লাস্ট রিভিশনের রায়টা আমাদের পক্ষে দেয়। এই সম্পূর্ণ রায় ডিগ্রীর প্রেক্ষিতে আমি ২০২১ সালে ৬/২১ মামলা দায়ের করি। অপর জারি মামলা। ওই মামলায় আমি আদেশ প্রাপ্ত হয়ে মিরসরাই সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে কবলাপাপ্ত হয়। কবলাপাপ্ত হওয়ার পর আমি আমার জায়গা আইনানুগভাবে এই জায়গা উচ্ছেদের জন্য জেলা যুগ্ম জজ আদালত থেকে আদেশ পাই।
রাব্বি আরও বলেন, আমরা যখন ছোট বেলায় স্কুলে যেতাম, তখন রাস্তায় দিয়ে যেতে পারতাম না। জমিনের মধ্যদিয়ে যেতাম। যেখানে হাটুপরিমাণ পানি থাকতো।