মিরসরাই প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এলাকাবাসী দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চলাচল করা একটি জনবহুল রাস্তা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের হাসিমনগর এলাকার গোলাপ বিবি সড়কের সংযোগ রাস্তাটি কেটে ফেলায় ক্ষোভ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গেলে উত্তর হাসিমনগর এলাকার নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে তাদের দীর্ঘ সময় ধরে চলাচলের রাস্তাটি কেটে ফেলার প্রতিবাদ করেন। এলাকার বাসিন্দা মজিবুল হক, আমিনুল হক, নুরুল আমিন, হারাধন দাশ, শাহ আলম জানান, উত্তর হাসিমনগর এলাকায় আমরা প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বসবাস করছি। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মক্তব, মসজিদ, হাট-বাজারে যাওয়ার জন্য সবাই এই সড়কটি ৩০ বছর ধরে ব্যবহার করে আসছি। এলাকাবাসী নিজের জায়গা দিয়ে এই রাস্তা তৈরি করেন। যারা জায়গা দিতে পারেনি তারা অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন। হটাৎ করে স্থানীয় প্রভাবশালী শহীদুল্লাহ, অহিদুন্নবী, রফিক, আরিফ, সাঈদ গংরা রাস্তার পাশ কেটে বড় গর্ত করে ফেলেন।
স্থানীয় মলিয়াইশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাগর চন্দ্র দাশ বলেন, আমরা এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাই। এখন রাস্তা কেটে বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে স্কুলে যাবো?
এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি তারা এস্কেবেটর দিয়ে রাস্তা কেটে পেলে। আমরা বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থলে এসে রাস্তা কাটা বন্ধ করেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, শহীদুল্লার ছেলে রফিক পুলিশে চাকরী করেন। তাই তিনি উপস্থিত থেকে সবাইকে মামলার ভয় দেখিয়ে রাস্তার পাশ ঘেঁষে বড় গর্ত করেন এবং সবাইকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে জানিয়েছি।
এই বিষয়ে মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, এলাকার লোকজন দীর্ঘদিন যাবত আমার জায়গার উপর নির্মিত রাস্তা দিয়ে চলাচল করেছে। রাস্তার বেশির ভাগ জায়গা আমার। এখন আমার জায়গা প্রয়োজন হচ্ছে তাই রাস্তা কেটে ফেলছি। আমার জায়গা আমি কাটবো এতে সমস্যা কোথায়? আমি যদি রাস্তার জন্য জায়গা দিতে হয় তাহলে পাশে যার জমি সেও তো জায়গা দিতে হবে। শুধু আমার জায়গা দখল করে রাস্তা হবে এ কি করে সম্ভব।
এই বিষয়ে ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার বলেন, রাস্তা কেটে ফেলার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং স্কেবেটর দিয়ে রাস্তার পাশ ঘেঁেষ মাটি খনন বন্ধ করেছি। উভয় পক্ষকে এই বিষয়ে সমাধান করার পরামর্শ দিয়েছি।