মিরসরাই প্রতিনিধি
আগামী মার্চে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মিরসরাইয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একাধিক সম্ভ্যাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে একজন সাবেক ছাত্রনেতা ও দক্ষ সংগঠক এস এম আবুল হোসেন। ইতমধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেতে দলের নীতি নির্ধারণী মহলে জোর তদবির ও লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
আবুল হোসেন ১৯৭৫ সালের ৫ মে মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম জোয়ার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম তাহের আহম্মদ। পশ্চিম জোয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাঠ শেষ করার পর করেরহাট কেএম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। বারইয়ারহাট ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি ও ডিগ্রী পাশ করেন। পরে চট্টগ্রাম আইন কলেজে ভর্তি হন তিনি।
স্কুল জীবন থেকে তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত। করেরহাট কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, বারইয়ারহাট কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর জেলা যুবলীগের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক ও বর্তমানে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনীতির বাইরেও তিনি বিভিন্ন সামাজিক, শিক্ষা, ধর্মীয় ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি চট্টগ্রামস্থ মিরসরাই এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক, অভিযান ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে অভিযান ক্লাবের দাতা সদস্য, করেরহাট কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যেসাহী সদস্য, করেরহাট উদয়ন ক্লাবের উপদেষ্টা, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিয়নের আজীবন সদস্য সহ বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতি ছাড়াও একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে চট্টগ্রাম শহর ও মিরসরাই উপজেলায় তাঁর বেশ পরিচিতি, সুনাম রয়েছে।
জানা গেছে, রাজনীতি করার কারণে একবার কারাবরণ ও একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছেন আবুল হোসেন। তাঁরপরও মুজিবের আদর্শ থেকে কখনো সরে যাননি। ১৯৯১ সালে ৮ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ সময় কারাগারে ছিলেন। ২০০১ সালের ২ নভেম্বর করেরহাট বাজারে বাজারে বিএনপি ক্যাডারদের হামলায় গুরত্বর আহত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর শরীরে এখনো বুলেটের চিহৃ রয়েছে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার বিষয়ে আবুল হোসেন বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়েছি। তখন থেকে এই পর্যন্ত দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দলের সুখে, দুঃখে সব সময় ছিলাম, আছি ভবিষ্যতেও থাকবো। পাশাপাশি সমাজ সেবার সাথে জড়িত রয়েছি। বৃহৎভাবে সমাজ কর্ম করতে যে কোন প্লাটফর্ম প্রয়োজন হয়। তাই আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার সীদ্ধান্ত নিয়েছি। তাছাড়া ছাত্র ও যুব রাজনীতি করার কারণে উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় আমার ব্যাচ রয়েছে। সকলের সাথে আমার যোগাযোগ হচ্ছে, ভালো সাড়াও পাচ্ছি।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, মিরসরাই মাটি ও মানুষের বন্ধু সাবেক সফল মন্ত্রী আমাদের অভিবাবক প্রিয়নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। গতবারও আমি ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সীদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু দলের সীদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করিনি। দলের জন্য আমার যে ত্যাগ রয়েছে সব কিছু বিবেচনা করে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেবে বলে আমি আশাবাদী। তৃণমূলের ভোটাভুটিতেও আমি জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। আর যদি দলীয় মনোনয়ন না পাই তাহলে দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমি তাঁর পক্ষে কাজ করবো।
ব্যক্তিগত জীবনে আবুল হোসেন ৫ বোনের মধ্যে একমাত্র ভাই। তাঁর এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে।