মির্জা আব্বাসের ওপর হামলা

581

নিজস্ব প্রতিবেদক :

গণসংযোগ চালানোর সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ওপর হামলা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১২টায় সেগুন বাগিচা কাঁচাবাজারের কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

৩০/৪০ জন যুবক এ হামলা চালায়। হামলায় আহত হয়েছে প্রায় ৬০ জন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন আওয়াল, আবুল কালাম, শাহাদাত হোসেন, নুর আলম, মোঃ রানা, জাহানারা বেগম, বিলকিস, মনি, রাশিদা, কফিল উদ্দিন, জাহিদ হোসেন, আলম, আবদুস সালাম, নাদিয়া পাঠান পাপন, মানিক, ইমন, শওকত আলী স্বপন, মিজান, আলীমুদ্দিন প্রমুখ। হামলাকারীদের হাতে লাঠি, লোহার রড, চাপাতি ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে আহতদের কয়েকজন অভিযোগ করেন।

পরে দুপুরে মির্জা আব্বাস তার শাজাহানপুরস্থ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রচারণার কার্যক্রমে আওয়ামী লীগ এভাবে সহিংস আক্রমণ চালাবে আমি ভাবতেও পারিনি। নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রমে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। অন্যদিকে এই আহত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আহত নেতাকর্মীদের মাথায়, পিঠে, হাতে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন সাংবাদিকদের দেখান।

মির্জা আব্বাস বলেন, এই হচ্ছে আজকে সারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি। সরকার বলছে, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কি না আসলে আমাদেরকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে রাখবে কিনা সেটাই প্রশ্ন। আমরা নির্বাচন করতে পারবো কিনা এ বিষয়ে দেশের জনগণের মাঝে সন্দেহ রয়েছে।

আমি সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে চাই, আসলে সরকার কি চায়? বিএনপিকে নির্বাচন করতে আদৌ দেবে কি দেবে না এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট হওয়া উচিত। তফসিল ঘোষণার সময় সরকার বলেছিল, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে নতুন কোন মামলা হবে না এবং পুরাতন মামলায় গ্রেপ্তার করা হবে না। এই বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই।

প্রতিদিন নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, নতুন নতুন গায়েবি মামলা দেয়া হচ্ছে। আমরা নির্বাচনে থাকতে চাই বলেই সরকারের এই আক্রোশ। মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। পালানোর সুযোগ আমাদের নেই। আজ আমার ওপর হামলা হয়েছে, চার দিন আগে ঢাকা- চালানো হয়েছে। কিন্তু হামলা মামলা যতই হোক নির্বাচনের মাঠ আমরা ছাড়বো না।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here