নিজস্ব প্রতিনিধি
জেলা প্রশাসক থেকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন মিরসরাই উপজেলার দুই কৃতি সন্তান। এরা হলেন ঢাকা জেলা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোঃ ফেরদৌস খান ও বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ। দুজনের বাড়ি উপজেলার ৭ নং কাটাছড়া ইউনিয়নে।
আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান মিরসরাই উপজেলার ৭ নং কাটাছরা ইউনিয়নের নিবৃত পল্লীতে এক অতিসাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। উপজেলার ঐতিহ্যবাহি ধুমঘাট হাজী চাঁন মিঞা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক মরহুম আবুল বশরের বড় ছেলে। আব্দুছ ছাত্তার ভুঁইয়ার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিাজীবন শুরু করেন। এরপর ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোর পর দুর্গাপুর সরকারী বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়। ওখান থেকে প্রাথমিক শিা সমাপ্ত করে দুর্গাপুর এন সি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ১৯৮৬ সালে বিজ্ঞান বিভাগ হতে প্রথম বিভাগে কৃতিত্বের সাথে উত্তির্ণ হন।
পরবর্তীতে মেঝো চাচা অধ্যাপক আবুল কাশেমের চাকুরীর সুবাধে সীতাকুন্ড ডিগ্রী কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন এবং কৃতিত্ত্বের সাথে উত্তির্ণ হন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী বিষয়ে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।
পরবর্তিতে অধ্যাপক মোজাফফর আহম্মদের অনুরোধে চট্টগ্রামের নেছারিয়া আলিয়া মাদরাসায় চাকুরি জীবন শুরু করেন। স্বল্প সময়ের বিরতীতে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ ডিজিএফআইতে সহকারি পরিচালক পদে যোগদান করে কর্মরত থাকা অবস্থায় ১৮ তম বিসিএস এ প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ প্রাপ্ত হন।
চাকুরি কালীন সময়ে তিনি যুক্তরাজ্য থেকে লিডারশিপে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগসহ বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ঢাকা জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করার পর তিনি যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত সদালাপী, বিনয়ী ও কর্মঠ একজন সফল ব্যক্তিত্ত্বের অধিকারী।
যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া ফয়েজ আহাম্মদ মিরসরাই উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বাড়িয়াখালী মোবারক আলী মেস্ত্রী বাড়ির (বর্তমান ফয়েজ আহম্মদ বাড়ি) সন্তান। ওনার পিতার নাম হাজ্বী আবদুল হক। ৪ ভাই ৪ বোনের মধ্যে তিনি ২য়।
২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর একান্ত সচিবের পদ থেকে বগুড়ার জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এবার তিনি জেলা প্রশাসক থেকে যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।