যে কারণে দেশ স্বাধীন হয়েছে, আওয়ামী লীগ তা কেড়ে নিয়েছে : আমির খসরু

317

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যে সব কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তার সবকিছুই ফেরত দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘যে সমস্ত কারণে বাংলাদেশে স্বাধীন হয়েছে, আওয়ামী লীগ তার সব কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু সবকিছু ফেরত দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। উনি বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, বাক স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছেন, আইনের শাসন ফিরিয়ে দিয়েছেন। এবং সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বাংলাদেশকে একটা স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসাবে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন জীবন দিয়েছেন।’

রোববার ১০ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দা‌বি‌তে ও ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রাজনীতি করার দরকার নাই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে মূলধন করে যে রাজনীতি চলছে সেটা কষ্টের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধ মূলধনের বিষয় নয়। ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধকে অব্যহতভাবে ব্যবহার করা কোনদিনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বর্তমানে বাংলাদেশে যারা মুক্তিযুদ্ধ রচনা করেছেন তারা ইতিহাসবিদ নয়। তারা রাজনীতিবিদ। সারা বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করে ইতিহাসবিদেরা। কিন্তু বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করছেন রাজনীতিবিদরা। রাজনীতিবিদ যখন ইতিহাসবিদ হয়ে যায় তখন সেটা ইতিহাস থাকে না।’

নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে আমীর খসরু বলেন, আজকের যারা প্রজন্ম, তাদের দায়িত্ব সঠিক ইতিহাস আগামী দিনে প্রণীত করা। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এই নেতৃত্বে যোগদান করবেন আপনারা। আপনারা আগামী দিনের কার্যক্রম ঠিক করুন। নেত্রীকে কিভাবে মুক্ত করবেন সেটার সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। তাহলেই, বাংলাদেশ যে কারণে সারাদিন হয়েছে এবং ৭ ই নভেম্বরের যে চেতনা সেটার কি সঠিক রূপ দিতে পারব।

বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু,বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, ফারজানা প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here