চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহরে আস্ত পাহাড় কেটে ২৫ তলাবিশিষ্ট দুটি টাওয়ার বানাচ্ছে আবাসন প্রতিষ্ঠান স্যানমার প্রপার্টিজ। ষোলশহর বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডানকান হিল কেটে এই টাওয়ার দুটি তৈরি করা হচ্ছে। এজন্য ইতিমধ্যে শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে প্রতিষ্ঠানটি। সামনে কাটা হবে আরও গাছ।
এই সবকিছুই হচ্ছে কোনো অনুমোদন ছাড়াই। বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, এমনকি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকেও নেওয়া হয়নি কোনো অনুমোদন।
ষোলশহর বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডানকান হিলের পাদদেশে মাটি কেটে চলছে স্যানমার প্রপার্টিজের টাওয়ার নির্মাণের প্রাথমিক কাজ। সেই পাহাড় এখন পরিণত হয়েছে প্রায় বিরানভূমিতে। অথচ গাছ কাটার জন্য বনবিভাগের কাছ থেকে কোনো অনুমোদনই নেওয়া হয়নি। পাহাড়ে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও নেওয়া হয়নি কোনো ছাড়পত্র।
সবুজ পাহাড়রাজি ধ্বংস করে ২৫ তলাবিশিষ্ট এরকম দুটি টাওয়ার বানাতে চায় আবাসন প্রতিষ্ঠান স্যানমার প্রপার্টিজ।
সবুজ পাহাড়রাজি ধ্বংস করে ২৫ তলাবিশিষ্ট এরকম দুটি টাওয়ার বানাতে চায় আবাসন প্রতিষ্ঠান স্যানমার প্রপার্টিজ।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে ষোলশহরের ডানকান হিলে ২৫ তলাবিশিষ্ট দুটি টাওয়ার বানানোর অনুমোদন দেওয়া হয় স্যানমার প্রপার্টিজকে। কিন্তু অনুমোদনের শর্ত অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে কাজ শুরু না করায় অন্তত চার বছর আগে সেই অনুমোদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে গেছে।
এর আগে পাহাড়চূড়ায় পরিবেশ বিধ্বংসী এরকম বহুতল ভবনের অনুমোদনও স্যানমার প্রপার্টিজ সিডিএর তৎকালীন কর্তাব্যক্তিদের ‘ম্যানেজ’ করে নিয়েছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর বন গবেষণা ইনস্টিটিউট এলাকার ২৪ জন বাসিন্দা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের কাছে স্যানমারের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগ আনে। এরপর পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি টিম ওই এলাকা ঘুরে স্যানমারের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটা ও গণহারে গাছ কাটার সত্যতা পেয়েছে।
এরপরই স্যানমার কর্তৃপক্ষকে শুনানিতে ডাকা হয়। রোববার (১৮ অক্টোবর) সেই শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালকের অসুস্থতার কারণে এটা আর হচ্ছে না আপাতত।