নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মামলার বিচার কাজ চলছে। বিচার চলাকালে ক্ষোভ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, এতো ছোট জায়গায় মামলা চলতে পারে না। এখানে আমাদের কোনো আইনজীবী বসতে পারেন না। আপনারা সাজা দিলে দিয়ে দেন, তাও আমি এ আদালতে আসব না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নাইকো দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্য খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে জায়গা সঙ্কট দেখে ঢাকার ৯ নং বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের উদ্দেশে এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া। এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ শুরু হয় এ আদালতে। সেখানে খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে করে আনা হয়।
বিচারকাজকে কেন্দ্র করে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মামলাসূত্রে জানা যায়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
মামলা করার পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।