সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করলো ছাত্রলীগ কর্মীরা

370

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ ছাত্রলীগ কর্মীদের – ছবি : সংগৃহীত


সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রী নিবাসে স্বামীকে বেঁধে ছাত্রলীগের কর্মীরা স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ গিয়ে গুরুতর অবস্থায় স্ত্রীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় সিলেটে তোলপাড় চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ওই সময় তাদের ধরতে অভিযান চলছিল। তবে অভিযুক্ত সাত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর মধ্যে সাইফুর রহমান নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই ছাত্রাবাসে সাইফুরের কক্ষ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি পাইপগান, চারটি রামদা’, একটি ছুরি ও দু’টি লোহার পাইপ।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসেন এক দম্পত্তি। রাত ৯টার কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী স্বামীকে মারধোর করে স্ত্রীকে ছিনিয়ে মহিলা ছাত্রী নিবাসে নিয়ে যায়। পরে স্ত্রীর পিছু পিছু স্বামী ছাত্রাবাসে পৌঁছলে তাকে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা। একপর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা ওই বধুকে ৫-৬ জন ছাত্রলীগ কর্মী পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছলে ছাত্রলীগ কর্মীরা পালিয়ে যায়।

এদিকে গুরুতর অবস্থায় ওই বধূকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। স্ত্রীর সঙ্গে হাসপাতালেও রয়েছেন স্বামী। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) জ্যোর্তিময় সরকার জানিয়েছেন, পুলিশ গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে ছাত্রী নিবাস থেকে উদ্ধার করে। এরপর স্ত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নবনির্মিত ওই ছাত্রী নিবাসটি ফাঁকা রয়েছে। এ কারণে সেখানে বখাটেরা রাতে আড্ডা দিতো।

এদিকে-ধর্ষক ছাত্রলীগ কর্মীরা টিলাগড়ের রঞ্জিত গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে। তারা করোনাকালে ফাঁকা হোস্টেলে আড্ডার পাশাপাশি মাদক সেবন করত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। তারা জানায়, এ নিয়ে বার বার অভিযোগ জানালেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here